ডিএ (Dearness Allowance) দেয়নি রাজ্য সরকার। কর্মীরা আশা করেছিলেন, জানুয়ারিতেই অন্তত ৩ শতাংশ ডিএ পাবেন। তবে তেমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি অর্থ দফতরের তরফে। এরই মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকারি কর্মীদের একাংশ।
ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী ৩ সংগঠনের মধ্যে সরকারি কর্মচারী পরিষদ ও ইউনিটি ফোরামের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের আগামী ৮ জানুয়ারি কার্যকরণী বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে।
আবার ইউনিটি ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন সরকারি কর্মী, শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মীরা। সেদিন সরকারি কর্মীরা গণছুটির ডাক দিয়েছেন। প্রায় ২৫ টি সংগঠন নিয়ে তৈরি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। সরকারি কর্মীরা জানাচ্ছেন, কোর্টে আইনি লড়াই চলবে তার পাশাপাশি মাঠে-মঞ্চে নেমেও আন্দোলন করার পক্ষে তাঁরা।
আরও পড়ুন : নতুন বছরে পেনশনারদের বড় উপহার, অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বেশি টাকা
এদিকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় জানুয়ারিতেই ডিএ পাওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ ও ইউনিটি ফোরাম। সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ২০১৯ রোপা অনুযায়ী ২০১৬ এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার ডিএ পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা। মাত্র ৩ শতাংশ। তাহলে ৭ বছরে মাত্র একবার ডিএ পেলেন সরকারি কর্মীরা।
দেবাশিস শীল আরও বলেন, 'সব রাজ্য ডিএ দিচ্ছে। আর এ রাজ্য সরকার দিনের পর দিন সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এই সরকার অপরাধী। এদের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে সব হচ্ছে অথচ ডিএ দেওয়ার সময় শুধু সরকারের অজুহাত। আমরা সুপ্রিম কোর্টে লড়ছি। ৮ তারিখ আমাদের সভা আছে। সরকারি কর্মীদের স্বার্থে সেখানেও বৃহত্তর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করব। যারাই ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তারাও আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারেন।'
আরও পড়ুন : 'ডিএ পাবেন রাজ্যের কর্মীরা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে'
ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, 'এই সরকার বঞ্চনা করছে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার ডিএ দিয়েছে। তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে গণছুটি পালিত হবে। আর জানুয়ারিতে সরকার ডিএ দেয়নি। কিন্তু তাদের দিতেই হবে। বকেয়া সহ এই সরকারকে সব শোধ করতে হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।'