ডিএ (Dearness Allowance) পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। শুধু অর্ডার হওয়া বাকি। আর সেই অর্ডার হয়ে গেলে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। ফের বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
সোমবার উলুবেড়িয়ার সভা থেকে ডিএ ইস্যুতে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। SAT, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের ডিএ পাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন, এই দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ডিএ-র অর্ডার টা হতে দেন তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও বন্ধ হবে। SAT-এ জিতেছে কর্মচারী শিক্ষক। হাইকোর্টে জিতেছে কর্মচারী শিক্ষক, ডিভিশন বেঞ্চে জিতেছে কর্মচারী শিক্ষক। সেই অর্ডারটা হয়ে গেলে আর কাউকে তাড়াতে হবে না। ১৪ তলা থেকে নিজেই ঝাঁপ মারবে। বলবে ধরম বাপ রক্ষে করো। আমি আর পারছি না।'
আরও পড়ুন : আবাস যোজনা থেকে বাদ লক্ষাধিক নাম, তাহলে কারা ঘর পাবেন না?
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই ডিএ সরকারি কর্মীরা পেতে শুরু করলে রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। কেন বললেন একথা? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে দেওলিয়া করে দিয়েছেন। বামেদের সময় রাজ্যের ঋণ ছিল ২ লাখ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তা হয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থদফতরকে ডেকে বলেছেন তোমরা ৪ টে কাজ করবে। ৫ টা কাজ করতে পারবে না। কারণ আমার টাকা নেই। সেই চারটি কাজ হল, বেতন, পেনশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর ভাতা চালিয়ে যাও। এর বাইরে কিছু হবে না। তবে এটাও বন্ধ হবে ডিএ-র অর্ডারটা হতে দেন।'
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের অর্থনৈতিক চিত্রের কথা স্মরণে রেখেই এই মন্তব্য করেছেন। কারণ, সরকারের তরফে ডিএ মামলায় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আগেই জানানো হয়েছে, যে পরিমাণ ডিএ দাবি করা হচ্ছে তা যদি দিতে হয় তাহলে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্যের দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় তাহলে সরকারকে ডিএ দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতেই হবে। তা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন : দিদির দূত অ্যাপ-এ কীভাবে মিলবে সরকারি প্রকল্পের টাকা? রইল বিস্তারিত
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। আগামী ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট ডিএ মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন হিসেবে ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। তবে সেদিনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।