শুক্রবারের ডিএ (Dearness Allowance)মামলার দিকে তাকিয়েছিল রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। এর আগে একাধিকবার এই মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে যায়। প্রায় আড়াই মাস পর গতকাল এই মামলার শুনানি হয়। ফলে সরকারি কর্মীরা আশা করেছিলেন, মামলার (DA case supreme Court) নিষ্পত্তি করবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের দায়ের করা এসএলপি গৃহীত হবে না ডিসমিস করে দেওয়া হবে তা জানিয়ে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তা হয়নি। বরং রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি দীর্ঘ শুনানির আবেদন জানান।
অভিষেক মনুসিংভি আদালতে জানান, 'প্রায় চার লাখের কাছাকাছি কর্মীর জন্য রাজ্যের উপরে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বোঝা পড়বে। তাই এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন আছে।' মাননীয় বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং পঙ্কজ মিথাল রাজ্যের যুক্তি শোনার পর জানান, যেহেতু মামলাটির দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে, তাই মামলার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত,সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এই মামলাটিতে শর্টনোট জমা পড়েছে। মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের দাবি, তারপরও মামলাটির ফাইনাল ডিসপোজালের পরিবর্তে আবার শুনানির পর্যায়ে রাখার অর্থ মামলাটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। তখন তাদের আইনজীবী উদ্দাম মুখার্জি এবং গুডডু সিং বিচারপতিদের কাছে আবেদন করেন, মামলার যেন দ্রুত শুনানি হয়। মাননীয় বিচারপতি শ্রী হৃষিকেশ রায় এবং শ্রী পঙ্কজ মিথাল এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলা নিয়ে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে রাজ্য সরকারী কর্মচারী, পেনশনার, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের মামলার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। কিন্তু লড়াই ছাড়া পথ নেই। তা সে কোর্টেই হোক আর মাঠে ময়দানেই হোক। তবে সরকারি কর্মীদের লড়াই করতে হবে। তবেই এই সরকার ডিএ দেবে।'
এই মামলা নিয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সরকার যে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে তুলেছে তার অধিকার তাদের রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তাকে মান্যতাও দিয়েছে। এটা আইনি বিষয়। তবে মাথায় রাখতে হবে, এই এসএলপি দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। তাদের দায় বেশি। তবে আমরা কোর্টের কাছে আবেদন করব, মামলার যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।'