রাজ্যের ডিএ মামলায় নতুন মোড়। মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই মামলা শুনতে রাজি হলেন না। ফলে মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে কোন দিন শুনানি হবে তার দিন এখনও ধার্য্য হয়নি।
আজকের এই মামলার দিকে তাকিয়েছিলেন লাখ লাখ সরকারি কর্মচারী। রাজ্যের দায়ের করা এসএলপি মাননীয় বিচারপতিরা খারিজ করে দেবেন বলে আশা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে সেই মামলার শুনানি হল না মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে।
গত ৫ তারিখ এই মামলার শুনানি ছিল। সেদিন মামলার বিচারপতি ছিলেন মাননীয় বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও দীনেশ মহেশ্বরী। তবে বুধবার ছিলেন না মাননীয় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী। সেজন্য মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মাননীয় বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সঙ্গে বেঞ্চে বসেন মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
আরও পড়ুন : রাজ্যের ডিএ মামলার বড় আপডেট: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল শর্টনোট, 'বকেয়া মিলবেই'
এদিন ৫১ নম্বর মামলা ছিল। কিন্তু পৌনে একটা নাগাদ মাননীয় বিচারপতিদের বেঞ্চ যখন উঠে যায় তখন সরকারি কর্মচারিদের পক্ষে আইনজীবী মীনাক্ষি আরোরা ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মামলা শোনার আবেদন করেন মাননীয় বিচারপতিদের কাছে।
তবে মাননীয় বিচারপতিরা এই মামলা শুনানিতে রাজি হননি। তাঁরা জানান, বেশ কিছু সরকারি কর্মচারি ও সংগঠনের মন্তব্যে তাঁরা ক্ষুব্ধ। এতে মামলা প্রভাবিত হতে পারে। তাই মামলা এখন শুনবেন না। তখন মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবীরা মহামান্য বিচারপতিদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং আবেদন করেন মামলার তারিখ যেন দ্রুত দেওয়া হয়। তখন মাননীয় বিচারপতিরা জানান, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে মামলা ফের উঠবে।
এই বিষয়ে কর্মচারি সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, আজ মামলার শুনানি হল না। মামলার শুনানি হবে ছুটির পরে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে। পরবর্তী শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। আজ একজন বিচারপতি এই মামলা শুনতে রাজি হননি।
এর আগে ৫ তারিখের শুনানিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারী সংগঠনগুলিকে শর্টনোট জমা দিতে বলেন। সেই মোতাবেক শর্টনোট জমা পড়ে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলাটি ৫১ নম্বর সিরিয়ালে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু মামলার শুনানিই হল না। সরকারি কর্মীদের একাংশ আশা করেছিলেন এই মামলার নিস্পত্তি বুঝবারই হবে। রাজ্য সরকারের এসএলপি ডিসমিস করে দেবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে আসেন তিনি। ১২ ডিসেম্বর তাঁর শপথ হয়। তারপরই রাজ্যের ডিএ মামলার বেঞ্চে ছিলেন তিনি।