সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট খবর। ডিএ )(Dearness Allowance) বাড়ছে তাঁদের। এই মহার্ঘ্য ভাতার অপেক্ষায় দিন গুণছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে এবার তাঁরা সুখবর পাবেন। সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যেই সুখবর পাবেন। একাধিক রিপোর্ট এটা নিশ্চিত করেছে যে, মহার্ঘ্য ভাতা ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যেই বাড়তে পারে। ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার পেনশনভোগীদের জন্য ডিয়ারনেস রিলিফ (Dearness Relief)ও বাড়াতে পারে।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা এবং মহার্ঘ্য ত্রাণ বছরে দুবার সংশোধিত হয়। প্রথমটা জানুয়ারিতে এবং তারপর জুলাই মাসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন : মাত্র ৫০০ টাকায় মিলবে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, বিশাল ঘোষণা
কেন্দ্রীয় সরকার, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিএ বাড়িয়েছিল। প্রায় ৪৮ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হয়েছিল। সরকার তখন ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল। ফলে এখন ৩৮ শতাংশ ডিএ পান সরকারি কর্মীরা। সেপ্টেম্বর বৃদ্ধির আগে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন।
যদিও এর আগে করোনার কারণে সরকার ডিএ বৃদ্ধি করেনি। ১ জুলাই, ২০২১ থেকে, সরকার মহার্ঘ্য ভাতা ১১ শতাংশ বাড়িয়েছিল। এবং জুলাই ২০২১ থেকে, ডিএ ১৭ থেকে ২৮ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যে হাজার হাজার চাকরি, যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক পাশ; বেতনও আকর্ষণীয়
সম্প্রতি, সংসদে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ নারনভাই রাঠওয়া। তার জবাবে লিখিত বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়ে দেন,'সরকারি কর্মচারী ও পেনশন প্রাপকদের ১৮ মাসের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। কোভিডের সময় সরকারের আর্থিক বোঝা কমাতে ডিএ বন্ধ রাখা হয়েছিল। অতিমারির সময় সামাজিক উন্নয়ন খাতে যে খরচ হয়েছিল তার আর্থিক চাপ ২০২০-২১ অর্থবর্ষেই আটকে থাকেনি। ফলে এখনই ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।'
এদিকে সরকারের এই জবাবে কর্মচারী ইউনিয়ন অসন্তুষ্ট। তারা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ডিএ বৃদ্ধি না করলেও করোনার সময় কর্মীরা কাজ চালিয়ে গেছেন। এই সময়ের মধ্যে অনেক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীও মারা গেছেন। তারপরও কর্মচারীরা কাজ করে গেছেন। তাই সরকারের উচিত সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া।