scorecardresearch
 

DA Hearing Supreme Court : 'কোর্ট বলেই দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ডিএ দিতে হবে', সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে বললেন আইনজীবী

ডিএ মামলা নিয়ে বড় আপডেট। শুনানিতে মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চকে জানায়, এই মামলার মেরিট নেই। রাজ্য সরকারকে তাদের কর্মচারীদের ডিএ দিতেই হবে।

Advertisement
Dearness Allowance Dearness Allowance
হাইলাইটস
  • ডিএ মামলা নিয়ে বড় আপডেট
  • রাজ্য সরকারের দায়ের করা এসএলপির মেরিট নেই
  • সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন আইনজীবী

ডিএ মামলা নিয়ে বড় আপডেট। শুনানিতে মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী  হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চকে জানায়, এই মামলার মধ্যে কিছু নেই। রাজ্য সরকারকে তাদের কর্মচারীদের ডিএ দিতেই হবে। ২ টো কোর্ট আগেই তা বলে দিয়েছে। কিন্তু এখনও মামলাটির হেয়ারিং হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের দায়ের করা এসএলপি-র কোনও মেরিট নেই। 

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলাটি। এই মামলার দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। এই নিয়ে ১২ বার ওঠে মামলাটি। এর আগে এতবার মামলা উঠলেও শুনানি হয়নি। সময়ের অভাবে কথা বলার সুযোগও পাননি সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলোর আইনজীবীরা। তবে এদিন প্রায় ১০ মিনিট শুনানি হয়। 

এসএলপি-র কোনও মেরিট নেই এই মর্মে জোর সওয়াল করেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী পাটোয়ালিয়া। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে জানান, এই মামলার শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এর আগেও তিনি দাবি করেছেন, শুনানি সম্ভব এমন দিনে যেন আদালত মামলাটির দিন ধার্য করে। তখন আইনজীবী পাটোয়ালিয়া ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, 'রাজ্য সরকার যে এসএলপি দায়ের করেছে তা ভিত্তিহীন। এই মামলার কোনও মেরিট নেই। পশ্চিমবঙ্গের লাখ লাখ সরকারি কর্মী এই মামলার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে বারবার মামলা উঠছে আর শুনানি হচ্ছে না।'

আরও পড়ুন

পাটোয়ালিয়া আরও বলেন, 'AICPI অনুযায়ী পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ দিতে হবে। এর আগে দুটো কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা মানছে না। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।' 

এসব শুনে আদালতের তরফে জানানো হয়, আজ অল্প সময়ের মধ্যে এই মামলার শুনানি সম্ভব হয়। পরবর্তী সময় একটি দিন ধার্য করা হবে। সেই মর্মে আদালত অফিসারকেও নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের অনুমান, দুর্গাপুজোর পরে শুনানি হবে।

Advertisement

এই মামলার বিষয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'আজকের শুনানির পর  আবার দীর্ঘদিনের মেয়াদে পরবর্তী  শুনানির জন্য দিন ধার্য  হওয়ায় রাজ্য সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, পেনসনারদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। বিশেষ করে  যখন  সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির বয়স আড়াই বছর বয়স হয়ে গেছে। কিন্তু ইতিবাচক দিক হচ্ছে দেরিতে হলেও মাননীয় বিচারপতিদ্বয়  নির্দেশ দিয়েছেন এমন একটি দিনে মামলাটি ধার্য করতে যাতে শুনানি সম্পূর্ণ হয় এবং নিষ্পত্তি হয়। আমরা আশাবাদী যে রাজ্য সরকারের মামলা খারিজ হয়ে যায়। পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ দিতে হবেই।'

Advertisement