Dearness Allowance বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডিএ বাড়ানো হলেও রাজ্য সরকার এখনও ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। যার জেরে ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীদের একাংশ। শহিদ মিনারে অবস্থান আন্দোলন তো চলছেই, একইসঙ্গে নানা সরকারি কর্মচারী সংগঠন মাঝে মধ্যেই মিছিল-আন্দোলন করছে। এমনকী পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ভাতার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও লড়ছে সরকারি কর্মীরা। এর মধ্যেই ভাতা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ভাতা পাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুলাই মাসে পর্ষদের নতুন বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের ভাতা বাড়বে। সেই প্রস্তাব অনুসারে ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মুখ্য কমিশনারের সঙ্গে ভাতার সাযুজ্য রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ভাতার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারই। ১ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা।
জানা যায়, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী চেয়ারম্যান ছাড়াও পর্ষদের দুই বিশেষজ্ঞ সদস্যের ভাতাও বাড়তে চলেছে। এর আগে শেষবার এই ভাতা বেড়েছিল ২০১৫ সালে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলা ফের উঠবে শীর্ষ আদালতে। সেই মামলা নিয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশ হতাশা প্রকাশ করেছে। আবার কারও মতে, মামলাটি দিশা পেয়েছে। কোনও কোনও সরকারি কর্মচারী সংগঠনে মতে, এতদিনে এই মামলা সঠিক দিশা পেল। এবার থেকে মামলার নিয়মিত শুনানি হবে। তবে কোনও কোনও সরকারি কর্মচারী সংগঠনের মতে, ফেব্রুয়ারিতে এই মামলা পিছিয়ে দেওয়ার ফলে সরকারি কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। যদিও আইনজীবীদের একাংশের মতে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মামলার শুনানি নিয়মিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেরকমই নির্দেশ দিয়েছে। এতে সরকারি কর্মীদের সুবিধেই হবে।
এর আগে ২০২২ সালে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি ছিল, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন।