Dearness Allowance : ডিএ-র দাবি আরও জোরালো, 'মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে লাগাতার ধর্মঘট'

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান রাজ্যের সরকারি কর্মী তথা ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি না মিটলে লাগাতার বনধ। ঘোষণা সরকারি কর্মীদের একাংশের।

Advertisement
ডিএ-র দাবি আরও জোরালো, 'মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে লাগাতার ধর্মঘট'ডিএ নিয়ে আন্দোলন
হাইলাইটস
  • ডিএ আন্দোলনের নড়া মোড়
  • এবার ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা

ডিএ আন্দোলনের নড়া মোড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান রাজ্যের সরকারি কর্মী তথা ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি না মিটলে লাগাতার বনধের পথে হাঁটবেন তাঁরা। এমনটাই ঘোষণা করা হল সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে। 

 সোমবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে শহিদ মিনারে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে সরকারি কর্মীরা জানান, তাঁরা ১৯ তারিখ মিছিল করবেন কলকাতায়। শিয়ালদা, হাওড়া ও হাজরামোড় থেকে। সেই মিছিস এসে পৌঁছবে শহিদ মিনার চত্বরে। সেখানে সভা হবে। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। যদি মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেন তাহলে ২৯ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে লাগাতার বনধ চলবে। 

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভাস্কর ঘোষ জানান, এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেছেন। কিন্তু তারপরও তাঁদের দাবি দাওয়া মেটেনি। সেই কারণ, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। যদি সেদিন মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করেন তাহলে বনধ শুরু হবে ২৯ জানুয়ারি থেকে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য। এই ধর্মঘটকে অনেকেই সমর্থন ইতিমধ্যেই করেছে। অনেক সরকারি কর্মচারী সংগঠন সাড়়া দিয়েছে। আরও অনেক সংগঠনের সঙ্গে কথা চলছে। এই নিয়ে সরকারকে ইতিমধ্যেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

ভাস্কর ঘোষের কথায়, '১৯ তারিখে যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা না করেন তাহলে অনশন শুরু হবে। ধর্মঘট চলবে। আর সেই অচলাবস্থার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ি থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিহারে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ি কর্মীকে স্থায়ি করা হয়েছে। শিক্ষকদেরও স্থায়ি করা হয়েছে। অথচ বিহার আমাদের থেকে ছোটো রাজ্য। জিএসটি কালেকশন সেই রাজ্যে কম। সেই রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ। তারপরও তারা বেকার যুবক-যুবতীদের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিতে পারছে। আমাদের রাজ্য সরকার পারছে না।' 

 প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। সেখানে রাজ্য়ের সরকারি কর্মীদের দেওয়া হয় ১০ শতাংশ ডিএ। তাতে তীব্র আপত্তি সরকারি কর্মীদের একাংশের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ-সহ একাধিক সরকারি কর্মচারী সংগঠনের অভিযোগ, এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সব দিক থেকে বঞ্চিত। তাঁদের প্রাপ্য ডিএ দেওয়া হয় না। এই দাবিতে আগেই নবান্নে বৈঠক করেছেন সরকারি কর্মীরা। তবে তারপরও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে অভিযোগ। 

Advertisement

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন, ডিএ হল রাজ্যের ঐচ্ছিক বিষয়। চাইলে দেবে না চাইলে দেবে না। এর জন্য কেউ জোর করতে পারে না। তবে সরকারি কর্মীরা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, দেশের সব রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনেই ডিএ দিয়ে থাকে সরকারি কর্মীদের। তাহলে এই রাজ্য সরকার কেন দেবে না ? 

POST A COMMENT
Advertisement