রাজ্যের সরকারি কর্মী, পেনশনার ও শিক্ষকদের হয়ে ফের আওয়াজ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও একাধিকবার ডিএ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিধানসভায়। ডিএ আন্দোলনের মঞ্চেও হাজির হয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পাশে আছেন। এবার বড় ঘোষণা করলেন। সরকারি কর্মী, পেনশনাররা এই ঘোষণায় খুশি।
বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তিনি বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যের সরকারি কর্মী, পেনশনার, শিক্ষকদের ডিএ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় হারে। শুভেন্দুর কথায়, 'রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী, পেনশনার, শিক্ষক, সবাইকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব আমরা। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা এলেই ক্যাবিনেটে প্রথম এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে যে, সবাই যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান। এটা কথা দিলাম।'
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, 'বিজেপি এই রাজ্যে শিল্প আনবে। শুধু তাই নয়, যত চাকরি প্রার্থী আছে, তাদের চাকরি দেওয়া হবে। এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার পরিস্থিতি সবাই জানে। এই রাজ্যের বেকাররা যাবে কোথায়?'
প্রসঙ্গত, অবশেষে কিছুদিন আগেই ডিএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ১ জানুয়ারি থেকেই ডিএ কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করলেও ডিএ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন একথাও জানিয়েছিলেন, ডিএ দেওয়া রাজ্য সরকারের ঐচ্ছিক বিষয়।
রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এই ডিএ দেওয়া হবে। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী, পঞ্চায়েত, পুরসভার কর্মীরাও এই ডিএ পাবেন। এছাড়াও এই সবের দফতরের আওতায় যে সব পেনশনাররা আছেন তাঁরাও পাবেন মহার্ঘ ভাতা।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত ৬ শতাংশ হারে ডিএ দিত রাজ্য সরকার। তবে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে এবার থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে রাজ্য সরকার ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করলেও তাতে খুশি নন সরকারি কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।