২০২১-২২ অর্থবর্ষে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর সুদের হারে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ৮.১ শতাংশের সুদের হারের প্রস্তাব দিয়েছিল ইপিএফ কমিটি। তাতে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র।গত মার্চে সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় পিএফের অছি পরিষদ। সেই ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ছিল ৮%। তার পর এটাই সর্বনিম্ন।
২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৮.১ শতাংশ সুদের হার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের নেতৃত্বে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠকে। সেই প্রস্তাব যায় কেন্দ্রের কাছে। তাতেই চূড়ান্ত শিলমোহর পড়ল শুক্রবার।
Govt approves 8.1 pc rate of interest on employee provident fund deposits for 2021-22: EPFO office order
— Press Trust of India (@PTI_News) June 3, 2022
৮.৮ শতাংশ সুদ মিলত ২০১৫-১৬ সালে। ২০১৭-১৮ সালে ৮.৫৫%। ২০১৮-১৯ সালে সুদ মিলেছে ৮.৬৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফের আমানতে সুদ দেওয়া হয়েছে ৮.৫%।
কেন কমল সুদের হার?
- আমানতের উপর কত টাকা আয় হল তার ভিত্তিতে সুদের হার ঠিক হয়। এবার আমানত অবশ্য বেড়েছে ১৩%। তবে ভাল রিটার্ন আসেনি পিএফ কর্তৃপক্ষের কাছে।
- সরকারি সিকিউরিটিজ, বন্ড-সহ ঋণপত্রে বছরে ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ইপিএফও। ইটিএফের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ তহবিল লগ্নি করা হয়। ঋণ ও ইক্যুইটি থেকে কতটা আয় হল, তার উপরে নির্ভর করে সুদ। অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে প্রত্যাশিত রিটার্ন আসেনি।
- কেন সুদের হার কমানো হল তা স্পষ্ট করেনি শ্রম মন্ত্রক। তবে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগই কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে,'বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংযত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইফিএফও। গত কয়েক বছর ধরে রিটার্ন পাচ্ছে। ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ করে সদস্যদের বছরের পর বছর ধরে ভাল রিটার্ন দিতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও সক্ষম। সদস্যদের সুদ বণ্টনের জন্য তহবিল থেকে অর্থ নেওয়ার দরকার পড়বে না।'
আরও পড়ুন- বায়োমেট্রিক শুরু হতেই রাজ্যে নিষ্ক্রিয় ১ কোটি ১৪ লক্ষ রেশন কার্ড