১.১৫ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ মুছল ব্যাঙ্ক! লোকসভায় জানাল কেন্দ্র

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে নির্দেশিকা রয়েছে এবং ব্যাঙ্ক বোর্ডের অনুমোদিত নীতি অনুসারে, চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নন-পারফর্মিং ঋণ লিখিতভাবে ব্যাঙ্কের ব্যালান্স-শিট থেকে সরানো হয়েছে। লোকসভায় বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের জবাবে লিখিতভাবে এই তথ্য পেশ করেন অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।

Advertisement
১.১৫ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ মুছল ব্যাঙ্ক! লোকসভায় জানাল কেন্দ্রজনসাধারণকে সব তথ্য যাচাই না করে ডিজিটাল ঋণ না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী।
হাইলাইটস
  • প্রথম ত্রৈমাসিকে ১.১৫ লক্ষ টাকার অনাদায়ী ঋণ মুছল ব্যাঙ্ক
  • চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নন-পারফর্মিং ঋণ লিখিতভাবে ব্যাঙ্কের ব্যালান্স-শিট থেকে সরানো হয়েছে
  • এই তথ্য পেশ করেন অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১.১৫ লক্ষ টাকার অনাদায়ী ঋণ মুছল ব্যাঙ্ক, সোমবার লোকসভায় এমনটাই জানাল কেন্দ্র। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে নির্দেশিকা রয়েছে এবং ব্যাঙ্ক বোর্ডের অনুমোদিত নীতি অনুসারে, চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নন-পারফর্মিং ঋণ লিখিতভাবে ব্যাঙ্কের ব্যালান্স-শিট থেকে সরানো হয়েছে। লোকসভায় বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের জবাবে লিখিতভাবে এই তথ্য পেশ করেন অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।

তিনি বলেন যে ব্যাঙ্কগুলি ট্যাক্সের সুবিধা জারি রাখতে, মূলধনের পরিমাণ ও ব্যালেন্স শিট ঠিক রাখতে আরবিআই-এর নীতি মেনেই অনাদায়ী ঋণ মুছে ফেলে। এই কাজটি ব্যাঙ্কের রুটিন কাজের মধ্যেই পড়ে।

অনাদায়ী ঋণ বা ইংরেজি পরিভাষায় যাকে ব্যাড লোন বলা হয়ে থাকে তা আসলে ঋণ দাতার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার সম্মুখীন করে। যদিও এই বকেয়া আদায়ের কাজ কখনই বন্ধ হয় না। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "আরবিআইয়ের তথ্য অনুসারে শিডিউল কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক রয়েছে তারাই দুই অর্থবর্ষ মিলিয়ে এই টাকার তথ্য মুছে ফেলেছে।" যদিও এই পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে ব্যাঙ্ক বোর্ড এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, "এক্ষেত্রে আর্থিক সম্পত্তির সুরক্ষাকরণ, পুনর্গঠন এবং সুদের সুরক্ষা আইন, ২০০২ এর অধীনে নাগরিক আদালতে এবং ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। কোম্পানি ল'এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ট্রাইব্যুনালে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি কিংবা সমঝোতা করে সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে সেই অনাদায়ী ঋণ তোলার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।"

তবে মন্ত্রী এও বলেন যে বিগত দুই আর্থিক বছরে এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে ঋণ খেলাপী অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা এবং মুছে ফেলা অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে অনুমোদিত নয় এমন ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার প্ল্যাটফর্মগুলি অনুসন্ধান করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। জনসাধারণকে সব তথ্য যাচাই না করে সেইসব ডিজিটাল ঋণ না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement