প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচকে দুর্নীতির অভিযোগে ক্লিনচিট দিল লোকপাল। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রাক্তন সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অস্পষ্ট। লোকপাল জানিয়েছে, তথ্যপ্রমাণ ও আইনি নীতির উপর ভিত্তিতে অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। কোনও অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।
প্রাক্তন সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। মাধবী পুরী বুচ এবং আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে যোগের কথা বলা হয়েছিল। তবে রিপোর্টে ক্লিন চিট দিয়েছে লোকপাল। বলে রাখি, মাধবী পুরী বুচ ২০১৭ সালে সেবিতে যোগদান করেছিলেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেবি প্রধান হন। তবে এখন তিনি এই পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর জায়গায় তুহিনকান্ত পান্ডেকে সেবি প্রধান করা হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ
সেবি প্রধান হিসেবে মাধবী পুরী বুচের মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ছিল। তিনি আইপিও থেকে শুরু করে স্টক এবং এফএন্ডও পর্যন্ত একাধিক নিয়ম এনেছিলেন। এদিকে, আমেরিকান শর্ট সেলার কোম্পানি হিন্ডেনবার্গের একটি রিপোর্ট আসে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে। কোম্পানির শেয়ারের দামে বিরাট পতন। হিন্ডেনবার্গ মাধবী পুরী বুচকে নিয়ে আর একটি রিপোর্ট আনে। ওই রিপোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আদানি গ্রুপের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ আনা হয়।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে কী ছিল?
১০ অগাস্ট ২০২৪-এ হিন্ডেনবার্গ নিজের রিপোর্টে দাবি করে, যে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর আদানি গোষ্ঠীর বিদেশী তহবিলে অংশীদারিত্ব রয়েছে। আদানি গোষ্ঠী এবং সেবির মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগও করা হয়েছিল। সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাওয়াল বুচ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বুচ দম্পতি জানিয়েছিল, কিছুই লুকোনো হয়নি। অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। আদানি গোষ্ঠী অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে। মানহানির ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে তারা। বিরোধীরাও গুরুতর অভিযোগ তোলে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর। সেবি প্রধানকে পদ থেকে অপসারণের দাবিও করে। এই অভিযোগগুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ করে তারা।