scorecardresearch
 

Gautam Adani Acquires Bengal Startup: এবার সল্টলেকে বাঙালির তৈরি সংস্থা কিনছেন আদানি, পা রাখছেন IT-তে

তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেয়েছে আদানি। এবার বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বড় লগ্নি করছে তারা। SIBIA নামে ওই স্টার্ট-আপ একটি অ্যানালিটিক এবং মেশিন লার্নিং সংস্থা। তার সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গসন্তান অংশুমান ভট্টাচার্য।

Advertisement
সিবিয়া কিনছে আদানি গোষ্ঠী। সিবিয়া কিনছে আদানি গোষ্ঠী।
হাইলাইটস
  • তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেয়েছে আদানি।
  • এবার বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বড় লগ্নি করছে তারা।

বাঙালির তৈরি স্টার্ট-আপ অধিগ্রহণ করতে চলেছে গৌতম আদানির সংস্থা। সেই সংস্থার মাধ্যমেই সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পা ফেলছে তারা। যা বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য বিরাট বড় খবর। SIBIA অ্যানালিটিক্স অ্যান্ড কনসাল্টিং সার্ভিসেসকে কিনে নিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। দুপক্ষের মধ্যে অধিগ্রহণ চুক্তি সারা। নভেম্বরের মাঝামাঝি হাতবদল পর্ব হয়ে যাবে। তবে কত টাকায় অধিগ্রহণ হয়েছে সেই অঙ্ক জানা যায়নি।   

তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেয়েছে আদানি। এবার বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বড় লগ্নি করছে তারা। SIBIA নামে ওই স্টার্ট-আপ একটি অ্যানালিটিক এবং মেশিন লার্নিং সংস্থা। তার সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গসন্তান অংশুমান ভট্টাচার্য। প্রায় ৮ বছর আগে পথ চলা শুরু SIBIA-র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেছেন অংশুমান। NIIT ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ডিপ্লোমাও রয়েছে। ব্যাচের টপার ছিলেন তিনি। সিম্ফনি, কগনিজ্যান্ট, উইপ্রোর মতো সংস্থার উচ্চপদে চাকরি করেছেন। তার পর সিবিয়া নামে স্টার্ট-আপ খোলেন। সংস্থায় কাজ করেন ৩৫ জন কর্মী। ইমামি, পিডিলাইট, এক্সাইড, এশিয়ান পেন্টস, বার্জার ইন্ডিয়ার মতো বড় বড় সংস্থা রয়েছে অংশুমানের গ্রাহক তালিকায়।    

অংশুমানের লিঙ্কডইন প্রোফাইল বলছে,SIBIA একটি প্রযুক্তি-নির্ভর সংস্থা। যা ভবিষ্যতের বাজার বিশ্লেষণ করে। বিভিন্ন সংস্থাকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে তাঁর সংস্থা। শুধু কলকাতা মুম্বই নয়, তাঁর গ্রাহক রয়েছে নিউ ইয়র্ক, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং পশ্চিম ইউরোপেও। বর্তমান ডিজিটাল খুচরো ব্যবসায় প্রযুক্তিগত সমাধান দেয় সিবিয়া। 

সিবিয়ার ৭১% শেয়ারের মালিক অংশুমান। ১৫% অংশীদারিত্ব অন্য ব্যক্তির হাতে। অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারীদের ভাগ বাকি ১৪%। গোটা অংশীদারিত্বই কিনে চাইছে আদানি গোষ্ঠী। গত ১৪ অক্টোবর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। নভেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগে গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

Advertisement

তাজপুরে ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠীকে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। নিউটাউনের ইকো পার্কে বিজয়া সম্মেলনীতে আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত নথি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আদানি গোষ্ঠী। পরে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সবমিলিয়ে বিনিয়োগ ২৫ হাজার কোটির।   

আরও পড়ুন- দেখতে ফাটাফাটি, মাইলেজ দুর্দান্ত, ৫০ হাজারের কমে বিকোচ্ছে ৫ ই-স্কুটার

Advertisement