Q4 GDP Data : আর্থিক গতিতে ব্রেক! চতুর্থ ত্রৈমাসিকে GDP ৪.১%, গোটা বছরে ৮.৭%

ভারত সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি নথিভুক্ত হয়েছে ৪.১ শতাংশে। আর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে ৮.৭ শতাংশে। কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউ এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই পরিসংখ্যান সরকারি অনুমান ৮.৯ শতাংশের চেয়ে কম। একই সময়ে, ২০২০-২১ সালে দেশের বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। 

Advertisement
আর্থিক গতিতে ব্রেক! চতুর্থ ত্রৈমাসিকে GDP ৪.১%, গোটা বছরে ৮.৭%প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি ৪.১ শতাংশ
  • ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৮.৭ শতাংশ
  • ২০২০-২১ সালে দেশের বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ

২০২১-২২ আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে, সরকার জিডিপি ( GDP) ফ্রন্টে একটি ধাক্কা খেয়েছে। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.১%। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃদ্ধির হার কমার প্রধান কারণ মূল্যবৃদ্ধি। যার জেরে বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্য অনুসারে, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ৪০.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা গত আর্থিক বছরের এই ত্রৈমাসিকে ছিল ৩৯.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। 

ভারত সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি নথিভুক্ত হয়েছে ৪.১ শতাংশে। আর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে ৮.৭ শতাংশে। কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউ এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই পরিসংখ্যান সরকারি অনুমান ৮.৯ শতাংশের চেয়ে কম। একই সময়ে, ২০২০-২১ সালে দেশের বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। 

ত্রৈমাসিক জিডিপি হ্রাস
এর আগে গত অর্থবছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার অর্থাৎ জিডিপি ছিল ৫.৪ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৮.৪ শতাংশ। এইভাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে, জিডিপি বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে ৮.৭ শতাংশে। তবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় FY২২-এ সালে অর্থনীতির অবস্থা ভাল। এর আগে, চতুর্থ ত্রৈমাসিকের জন্য, SBI জিডিপি বৃদ্ধির হার ২.৭ শতাংশ, ICRA ৩.৫ শতাংশ, CRISIL ৪.৫ শতাংশ অনুমান করেছিল। 

উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে মূল খাতে বৃদ্ধি হয়েছে ৮.৪ শতাংশ। কয়লা, বিদ্যুৎ, শোধনাগার পণ্য, সার, সিমেন্ট এবং প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল ২০২২-এ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, মূল সেক্টরে আটটি প্রধান খাত রয়েছে সেগুলি হল, কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগার পণ্য, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং বিদ্যুৎ।

রাজস্ব ঘাটতি অনুমানের চেয়ে কম
২০২১-২২ আর্থিক বছরে ভারতের রাজস্ব ঘাটতি (Fiscal Deficit) ৬.৯ শতাংশের সংশোধিত অনুমানের পরিবর্তে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যানগুলিতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমান অনুমান করা হয়েছিল ১৫.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। কন্ট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টস (CGA) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে প্রকৃত রাজস্ব ঘাটতির পরিমান ছিল ১৫,৮৬,৫৩৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.৭ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর আবগারি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তে রাজকোষের ওপর চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

Advertisement

আরও পড়ুনহাসপাতালের ডাক্তার ও ১০ নার্স একসঙ্গে গর্ভবতী, 'জল খেয়েই এই কাণ্ড?'

 

POST A COMMENT
Advertisement