ফের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা। জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে করের সর্বনিম্ন ধাপ ৫ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার বিষয় আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এছাড়াও, রাজস্ব বাড়াতে এবং ক্ষতিপূরণের জন্য ও কেন্দ্রের উপর রাজ্যগুলির নির্ভরতা দূর করতে GST ব্যবস্থায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যগুলির তালিকাও পরিবর্তন করা হতে পারে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সমস্ত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি কমিটি জিএসটি কাউন্সিলকে এই মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট দিতে পারে। সেখানে সর্বনিম্ন জিএসটি স্ল্যাব বাড়ানো এবং স্ল্যাবকে যুক্তিযুক্ত করার বিষয়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
GST স্ল্যাবে পরিবর্তন সম্ভব
প্রসঙ্গত জিএসটি-তে মোট ৪টি স্ল্যাব রয়েছে। সেগুলি হল ৫, ১২, ১৮ ২৮ শতাংশ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলিকে হয় এই কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বা সেগুলিকে সর্বনিম্ন স্ল্যাবে রাখা হয়। আর বিলাসবহুল পণ্যগুলিকে রাখা হয় সর্বোচ্চ ট্যাক্স স্ল্যাবে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী এই ৫ শতাংশটিকেই বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। যার জেরে বার্ষিক ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্ন স্ল্যাবে এক শতাংশ বৃদ্ধির ফলে বার্ষিক ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের লাভ হয়। এর মধ্যে প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, এই করকাঠামো ৩ স্তরীয় করারও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্ল্যাব হতে পারে ৮, ১৮ ও ২৮ শতাংশ। যদি এটি মঞ্জুর হয়ে যায় তাহলে ১২ শতাংশের আওতাভুক্ত সমস্ত সামগ্রী ১৮ শতাংশের আওয়ায় চলে যাবে।
যে সমস্ত সামগ্রীর দাম বাড়বে
এছাড়াও, জিএসটি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা কমানোরও প্রস্তাব দেওয়া হবে। বর্তমানে ব্র্যান্ডবিহীন এবং প্যাকেজবিহীন খাদ্য সমূহ এবং পণ্যগুলি জিএসটির আওতার বাইরে রয়েছে। GST-র ৫% স্ল্যাবের মধ্যে রয়েছে চিনি, তেল, মশলা, কফি, কয়লা, সার, চা, আয়ুর্বেদিক ওষুধ, ধূপকাঠি, কাজুবাদাম, মিষ্টি, হস্তনির্মিত কার্পেট, লাইফবোট, ফিশ ফিলেট এবং ব্র্যান্ডবিহীন মৌলিক পণ্যের মতো প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী। এ ছাড়া লবণ ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধও রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতেই GST কাউন্সিলের বৈঠক হতে পারে। সেখানেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন - কাল থেকে রাজ্যের এই জেলাগুলিতে অনেকক্ষণ বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট, কেন জানেন?