প্রিমিয়াম ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা এবারও অধরা, শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত চা শিল্পে

বিশ্ব জুড়ে চাহিদা থাকা দার্জিলিং-ডুয়ার্সের প্রিমিয়াম ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা এবার উৎপাদন হচ্ছে না। বৃষ্টিপাত কম এবং শিলাবৃষ্টি যৌথভাবে এবারের চা শিল্পকে দুমড়ে দিয়েছে। মোট উৎপাদনের পরিমাণও অন্যান্য বছরের তুলনায় অত্যন্ত কম।

Advertisement
প্রিমিয়াম ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা অধরা, মাথায় হাত চা শিল্পেচা বাগানের ফাইল চিত্র
হাইলাইটস
  • ফার্স্ট ফ্ল্য়াশ চা এবার উৎপাদন সম্ভব নয় কম এবং শিলাবৃষ্টি যৌথভাবে এবারের চা শিল্পকে দুমড়ে দিয়েছে। মোট উৎপাদন হচ্চ
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোট উৎপাদনও ব্যহত
  • প্রতিকারের উপায় অধরা

বিশ্ব জুড়ে চাহিদা থাকা দার্জিলিং-ডুয়ার্সের প্রিমিয়াম ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা এবার উৎপাদন হচ্ছে না। বৃষ্টিপাত কম এবং শিলাবৃষ্টি যৌথভাবে এবারের চা শিল্পকে দুমড়ে দিয়েছে। মোট উৎপাদনের পরিমাণও অন্যান্য বছরের তুলনায় অত্যন্ত কম।

চাহিদা ও দাম রয়েছে

করোনার জেরে প্রায় এক বছর সময় ধরে বন্ধ ছিল চা উৎপাদন। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে চা বাগান গুলি খুললেও কর্মী অপ্রতুল থাকায় চা পাতা তোলার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে যেখানে চা পাতার দাম কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকায় ঘোরাফেরা করে, সেখানে চা পাতার দাম প্রতি কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে যায়।

চা শিল্পে হতাশা

চা বাগান মালিকদের আশা ছিল চলতি বছরে গত বছরের বিপুল ঘাটতি পুষিয়ে নেবেন। তাতে বাদ সাধল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চলতি মরশুমে বৃষ্টিপাত এমনিতেই কম ছিল। যাতে চা পাতার পুষ্টি তেমন হয়নি। ফলে গাছে যে পরিমাণে পাতা আসার কথা তা আসেনি। অন্যদিকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টির ফলে চা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাতে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ফার্স্ট ক্লাস চা পাতা তৈরি করতে এবার হিমশিম খেতে হচ্ছে চা শ্রমিকদের।

টি অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি

এবারে সম্ভবত সর্বোচ্চ মানের চা অধরাই থেকে যাবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে উত্তরবঙ্গ ও অসমের চা শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরে লকডাউন এর কারণে উত্তর ভারতের চা শিল্পে প্রায় দেড় হাজার লক্ষ কেজি উৎপাদন ঘাটতি ছিল। সেই ঘাটতি মেয়েটার আগেই নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবারের ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা পাতা তৈরি করতে দিল না। টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত বছর বন্ধ থাকায় সেটিকে হিসেবের বাইরে রাখলেও মোটের উপর প্রায় কুড়ি শতাংশ উৎপাদন চলতি বছরে কম হয়েছে। উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিতে গত বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ কেজি চা তৈরি হয়েছিল। যা এ বছর ১১ লক্ষ কেজির বেশি উৎপাদন করা যায়নি। একে উৎপাদন কম, তার উপর ফার্স্ট ফ্ল্যাশ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিপুল ঘাটতি মেটানো যাবে কীভাবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।

Advertisement

 

 

POST A COMMENT
Advertisement