ভারত ট্যারিফের বদলা নিলে বড়সড় ধাক্কা খাবে আমেরিকাও, কোন কোন কোম্পানি বিপদে পড়বে?

ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হল আমেরিকা। ২০২৪-২৫ সালে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩১.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে ভারত আমেরিকা থেকে রপ্তানি করেছে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আমদানি করেছে ৪৫.৩৩ মার্কিন ডলার।

Advertisement
ভারত ট্যারিফের বদলা নিলে বড়সড় ধাক্কা খাবে আমেরিকাও, কোন কোন কোম্পানি বিপদে পড়বে?  Representative Image
হাইলাইটস
  • আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন
  • ভারতও পাল্টা পদক্ষেপ করলে চাপে পড়বে আমেরিকার অর্থনীতি

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন। আবার এদেশের অর্থনীতিকে মৃত বলেও দাবি করেছেন তিনি। মুখে একথা বললেও ভারতের সঙ্গে কিন্তু ব্যবসায়ীক সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন ট্রাম্প। 

ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হল আমেরিকা। ২০২৪-২৫ সালে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩১.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। তার মধ্যে ভারত আমেরিকা থেকে রপ্তানি করেছে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আমদানি করেছে ৪৫.৩৩ মার্কিন ডলার। ভারত ওষুধ, সোনার গয়না ও প্রযুক্তি রপ্তানি করেছে সেই দেশে। আমদানির মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত তেল, কয়লা ও বিমানের যন্ত্রাংশ। 

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের উপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ বসানোর জেরে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে। কিন্তু ভারত যদি প্রতিশোধ নেয়, পাল্টা পদক্ষেপ করে তাহলে আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সেটা সুখবর হবে না। কারণ, ভারতের ব্যবসার উপর আমেরিকার কয়েক ডজন কোম্পানি অনেকাংশে নির্ভরশীল। 

ভারতে আমেরিকার কয়েক শো কোম্পানি রয়েছে। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি কোম্পানির দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হবে যারা ভারতে ব্যবসা করে ও মোটা মূলধন তাদের দেশের নিয়ে যায়। সেই সব কোম্পানির প্রোডাক্ট ভারতের ঘরে ঘরে দেখা যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও রয়েছে তার মধ্যে। 

অ্যামাজন ইন্ডিয়া - ভারতে আমেরিকার যে সব কোম্পানি রাজত্ব করে তাদের মধ্যে অন্যতম হল অ্যামাজন ইন্ডিয়া। ভারতের ৯৭ শতাংশ পিন কোডে অ্যামাজন পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ এদের অ্যাক্সেস দেশের প্রায় সব জায়গায়। 

অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড: ভারত আইফোনের জন্য একটি বড় বাজার। কিন্তু আইফোন তৈরি করে আমেরিকান কোম্পানি। ভারতীয়দের আইফোনের প্রতি বিশাল উন্মাদনা রয়েছে। যদিও এই ফোন তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যদি অ্যাপেল ভারতে সমস্যার মুখোমুখি হয় তাহলে তার প্রভাব আমেরিকান অর্থনীতিতেও পড়বে। 

গুগল : গুগল আমেরিকান সার্চ ইঞ্জিন। বিজ্ঞাপন, অ্যান্ড্রয়েড এবং ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করে গুগল। ভারতে গুগলের বড় ডেটা সেন্টার রয়েছে। ১৪০ কোটি দেশের ভারতে এর বাজারও বিশাল। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা কামায় আমেরিকা। 

Advertisement

মাইক্রোসফট: প্রতিটি কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে মাইক্রোসফট সফটওয়্যার রয়েছে। ভারতে এই কোম্পানিগুলির আয়ের একটি বড় অংশ আমেরিকাতেও যায়। ভারতে এরা যদি ব্যবসা করতে না পারে তাহলে আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে। 

এক্স হ্যান্ডেল : সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক এবং ট্যুইটার সেগুলিও আমেরিকান কোম্পানি। 

কোকা কোলা- কোকা কোলা ভারতে বিক্রি হওয়া শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানি। এর মধ্যে আছে স্প্রাইট, থাম্বস আপ, মাজা, কোক, কিনলের মতো পণ্য। 

পেপসিকো ইন্ডিয়া : এটিও একটি পানীয় কোম্পানি। ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতে সক্রিয়। গ্রামীণ এলাকায় জল সংরক্ষণের মতো সামাজিক উদ্যোগে বিনিয়োগ করে তারা। 

কোলগেট - পামোলিভ : কোলগেট প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। এটিও আমেরিকান কোম্পানি। 

এছাড়াও এই তালিকাতে রয়েছে জনসন অ্য়ান্ড জনসন, নেশলে ইন্ডিয়া, কেলোগ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, মার্স ইন্টারন্যাশনাল, ম্যাক ডোনাল্ড, কেএফসি, স্টারবাকস, টাইমেক্স, নাইকি ইন্ডিয়া ইত্যাদি। 
 

POST A COMMENT
Advertisement