scorecardresearch
 

India Today Conclave Mumbai 2023: শেয়ার ট্রেডিংয়ে নতুন? মোক্ষম টিপস দিলেন NSE সিইও

Share Market Tips: একগুচ্ছ জরুরি পরামর্শও দিলেন, যাতে শেয়ারবাজারে লগ্নি লোকসান থেকে বাঁচতে পারেন সাধারণ মানুষ। জরুরি পরামর্শ দিলেন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ হিসেবে যাঁরা পেশা শুরু করছেন।

Advertisement
শেয়ারবাজার শেয়ারবাজার
হাইলাইটস
  • শেয়ারবাজারে কী কী বদল এসেছে?
  • NSE-তে একদিনে ১৩ কোটি টাকার ব্যবসা
  • শেয়ারবাজারে নতুন লগ্নিকারীদের জন্য পরামর্শ

বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)। মুম্বইয়ে আয়োজিত India Today Conclave 2023 Mumbai-এর মঞ্চে আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার ছিলেন NSE-র সিইও আশিস চৌহান। তিনি জানালেন শেয়ারবাজারে কী কী করা একেবারেই উচিত নয়। একগুচ্ছ জরুরি পরামর্শও দিলেন, যাতে শেয়ারবাজারে লগ্নি লোকসান থেকে বাঁচতে পারেন সাধারণ মানুষ। জরুরি পরামর্শ দিলেন শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ হিসেবে যাঁরা পেশা শুরু করছেন।

শেয়ারবাজারে কী কী বদল এসেছে?

বিজনেস টুডে-র সম্পাদক সৌরভ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনায় NSE-র সিইও আশিস চৌহান, ভারতীয় শেয়ারবাজারের একের পর এক মাইলস্টোনের বললেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত একাধিক মাইলস্টোন দেখেছে শেয়ারবাজার। তাতে বড় ভূমিকা রয়েছে প্রযুক্তির। আজ দেশের নানা প্রান্তে বসে মানুষ শেয়ার কেনাবেচা করতে পারছেন। বর্তমানে শেয়ার ট্রেডিং ব্যাঙ্কে টাকা রাখার মতো বিষয় হয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন

NSE-তে একদিনে ১৩ কোটি টাকার ব্যবসা

আশিস চৌহানের বক্তব্য, যে কোনও বড় আর্থিক মন্দার পরে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা সর্বদাই দেখা গিয়েছে। ভারতীয় শেয়ারবাজার হর্ষদ মেহতা দুর্নীতি দেখেছিল, তারপর সরকারের আর্থিক সংস্কার ও নতুন শেয়ার বাজার NSE তৈরি হল। আজ NSE বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শেয়ার মার্কেট। একদিনে ১৩ কোটি টাকার ট্রেডিং হয়। গত ২৯ বছরে  NSE MCap ৩০ গুণ বেড়েছে।

শেয়ারবাজারে নতুন লগ্নিকারীদের জন্য পরামর্শ

NSE-র সিইও-র পরামর্শ, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৮ কোটির বেশি মানুষ শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যাঁরা শেয়ারবাজারে নতুন লগ্নি করছেন, তাঁদের প্রতি আশিস চৌহানের পরামর্শ, সকালে একটি শেয়ার কিনে, ওই দিনই সন্ধ্যায় বিক্রি দেওয়াকে ট্রেডিং বলে না। যদি কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তা করছেন, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু শেয়ারে লগ্নির আগেও নিজেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিষয়ে পড়াশোনা করুন। শেয়ারবাজারে লাভবান হতে হলে ৩ থেকে ৫ বছর হোল্ড করা দরকার।

Advertisement

Devivative ট্রেডিং থেকে দূরে থাকুন

NSE-র সিইও-র পরামর্শ, ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের থেকে দূরে থাকাই ভাল। এই ধরনের ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি বেশি। লোকসানের সম্ভাবনাও বেশি। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল ডেরিভেটিভ ট্রেডিং। একটি ডেরিভেটিভ হল একটি আনুষ্ঠানিক আর্থিক চুক্তি যা একজন বিনিয়োগকারীকে ভবিষ্যতের তারিখের জন্য একটি সম্পদ কিনতে এবং বিক্রি করতে দেয়। একটি ডেরিভেটিভ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নির্দিষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত। শেয়ার বাজারে ডেরিভেটিভ ট্রেডিং অন্তর্নিহিত সম্পদ কেনার চেয়ে ভাল কারণ লাভগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে স্ফীত হতে পারে। ডেরিভেটিভ ট্রেডিং হল, ট্রেডিংয়ের একটি লিভারেজড ফর্ম, যার অর্থ আপনি অল্প পরিমাণ অর্থ প্রদান করে অন্তর্নিহিত সম্পদের একটি বড় পরিমাণ কিনতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের ডেরিভেটিভ, যেমন স্টক, কমোডিটি, মুদ্রা, বেঞ্চমার্ক ইত্যাদিতে ট্রেড করতে পারেন। ডেরিভেটিভ চুক্তি দুই ধরনের হয় - ফিউচার এবং অপশন। সারমর্মে, বিনিয়োগকারী থেকে উভয়ই একই, এবং বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট ভবিষ্যতের তারিখের জন্য অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্য ভবিষ্যদ্বাণী করে। কিন্তু, ফিউচার এবং বিকল্পগুলি ভিন্ন, ফিউচারে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েরই মেয়াদ শেষ হওয়ার চুক্তিকে সম্মান করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷
 

Advertisement