scorecardresearch
 

GDP: ১৮ মাসে সর্বনিম্ন জিডিপি, চাহিদার অভাবই টেনে নামাল বৃদ্ধিকে

রয়টার্সের সমীক্ষা ৬.৫% জিডিপি-র পূর্বাভাস দিয়েছিল। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ৬.৭% থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (জিভিএ) হল বিভিন্ন সেক্টরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাপদণ্ড। যা ৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement
খুচরা খাদ্য মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে 10.87%-এ উন্নীত হয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে। খুচরা খাদ্য মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে 10.87%-এ উন্নীত হয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে।

২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে অর্থনীতির গতি খানিকটা বাধা পেল। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট ভারতীয় অর্থনীতির গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি কমে হল ৫.৪ শতাংশ। গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুক্রবার এই পরিসংখ্যানই দিল ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (NSO)। 

শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশ। গত ১৮ মাসে যা সর্বনিম্ন। গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) একই ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১%। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭%।

অতিমারির সময়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি ছিল ৪.৩%। গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকেই জিডিপি ছিল ৮%-এর বেশি। গত এপ্রিল-মে-জুনে বৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৬.৭%। এ বার তা আরও নামল।

আরও পড়ুন

GDP-র হার প্রত্যাশিত 

রয়টার্সের সমীক্ষা ৬.৫% জিডিপি-র পূর্বাভাস দিয়েছিল। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ৬.৭% থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (জিভিএ) হল বিভিন্ন সেক্টরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাপদণ্ড। যা ৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ৬.৫% পূর্বাভাসের চেয়ে কম। গত বছরের তুলনায় ৭.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের ত্রৈমাসিকের ৬.৮% বৃদ্ধির চেয়ে অনেক কম। গেল আন্তর্জাতিক লেখচিত্রে পয়লা নম্বরে। যদিও ভারতের তুলনায় চিনের অর্থনীতির কলেবর অনেক বড়। ফলে বৃদ্ধির হারের শতাংশের হিসাবে সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

চলতি মাসের গোড়ায় সমীক্ষা রিপোর্টে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা পূর্বাভাস দিয়েছিল, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৬.৫ শতাংশে। আশঙ্কা যে অমূলক নয়, সেটা স্পষ্ট করেছিলেন কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি যে আরও খারাপ, তা স্পষ্ট হল শুক্রবার। উৎপাদন, কৃষি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত বৃদ্ধি না-হওয়া, প্রত্যাশামাফিক লগ্নি না-আসায় জিডিপির বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে বলে রিপোর্টে ইঙ্গিত।

Advertisement

 

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ, যা আগের ত্রৈমাসিকের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। বার্ষিক ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে খনি খাতে সংকোচন হয়েছে -০.১%। আগের ত্রৈমাসিকে বার্ষিক তা ছিল ১১.১%।  

উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ২.২%। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৪.৩%। বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে ৩.৩%। যা গত বছরের একই ত্রৈমাসিকে ছিল ১০.৫%। নির্মাণ ক্ষেত্রে রেকর্ড ৭.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই ত্রৈমাসিকে তা ছিল ১৩.৬%। আগের ত্রৈমাসিকে ১০.৫%।

পরিবহণ ক্ষেত্রে উন্নতি 

বাণিজ্য, হোটেল ও পরিবহণ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। অর্থনীতিতে ৬ শতাংশ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪.৫%। শেষ ত্রৈমাসিকে ৫.৭%।  আর্থিক, নির্মাণ এবং পরিষেবাগুলি ৬.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। যা এক বছর আগের ৬.২% থেকে কিছুটা ভালো। তবে আগের ত্রৈমাসিকে রেকর্ড ৭.১% থেকে কম।

TAGS:
Advertisement