আধিকারিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে শিরোনামে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (NSE)। হিমালয়ের এক যোগীর কথায় যাবতীয় নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন সংস্থার প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ। মঙ্গলবার এনিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান, এই দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় জায়গায় তদন্ত চালাচ্ছে সরকারের একাধিক এজেন্সি। তবে এর বেশি কিছু ভাঙতে চাননি সীতারমন।
গত সপ্তাহে চিত্রা ও প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার ও এমডি-র উপদেষ্টা আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। আর এই ঘটনায় বিরোধীদের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী ও নির্মলা সীতারমন। তাদের প্রশ্ন, ২০১৬ সাল থেকে কী করছিলেন? মুম্বইয়ে বাজেটের পর প্রথামাফিক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন,'এখনই এ ব্যাপারে বলা ঠিক নয়। সমস্ত তথ্যই হাতে এসেছে। শীঘ্রই সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত প্রশ্নের নিরসন করবে অর্থমন্ত্রক।'
তথ্যপ্রমাণ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না বলেও মনে করিয়ে দেন সীতারমন। তাঁর কথায়,'পোক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না ইডি।'
অতিসম্প্রতি এনএসই বেনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই-ও। আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম ও তাঁর নিয়োগকর্ত্রী চিত্রা রামকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। মুম্বইয়ে সেবি-র অফিস থেকে নথিপত্র জোগাড় করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যেই সেবি-র তদন্ত রিপোর্ট বলছে, গত ২০ বছর ধরে হিমালয়ের এক সাধুর পরামর্শ পেশাদারি সিদ্ধান্ত নিতেন চিত্রা। তাঁর কথাতেই কোটি টাকা দিয়ে আনন্দকে নিয়োগ করেছিলেন এনসিই-তে।
আরও পড়ুন- ৩০ টাকার শেয়ার ৩ বছরে ২১০০ পার, ৭০০০% রিটার্ন আদানির এই স্টকে