রাজ্যগুলোকে রাজস্ব সুরক্ষা দিতে হবে, GST বৈঠকে দাবি বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোর

জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র সরকার একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যমান চার-স্তরের কর কাঠামোকে কমিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাবে আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তা হল যথাক্রমে ৫% এবং ১৮%। অর্থাৎ, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর সময় রাখা ১২% ও ২৮% হারের স্ল্যাব বাদ দেওয়া হবে।

Advertisement
রাজ্যগুলোকে রাজস্ব সুরক্ষা দিতে হবে, GST বৈঠকে দাবি বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোর GST
হাইলাইটস
  • জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র সরকার একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে
  • এর মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যমান চার-স্তরের কর কাঠামোকে কমিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাবে আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে

GST কাউন্সিলের বৈঠকে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলো কেন্দ্র সরকারের কাছে রাজস্ব সুরক্ষা ও ভোক্তা সুরক্ষার দাবি জানাল। খবর সূত্রের। বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে ৫৬ তম গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) কাউন্সিলের বৈঠক বসে। 

জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র সরকার একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যমান চার-স্তরের কর কাঠামোকে কমিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাবে আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তা হল যথাক্রমে ৫% এবং ১৮%। অর্থাৎ, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর সময় রাখা ১২% ও ২৮% হারের স্ল্যাব বাদ দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার আওতায়, বর্তমানে ১২% হারে থাকা প্রায় সব পণ্য এবং ২৮% হারে থাকা বেশিরভাগ পণ্যকে নিম্ন হারে আনা হবে। ফলে ভোক্তাদের হাতে কম দামে জিনিস পৌঁছতে পারে। 

বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোর দাবি, কোম্পানিগুলিকে কম মুনাফা অর্জন করতে দিতে হবে। যাতে গ্রাহকরা বেশি সুবিধা পান। রাজ্যগুলি যাতে ব্যাপক রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকেই।  সূত্রের দাবি, সরকার বিলাসবহুল পণ্যের জন্য ৪০ শতাংশ আলাদা স্ল্যাব করার পরিকল্পনা করেছে। উচ্চমানের গাড়ি, এসইউভি ও অন্যান্য প্রিমিয়াম গাড়ি, যেগুলিতে বর্তমানে ২৮% জিএসটি ও ক্ষতিপূরণ সেস বসে, সেগুলিকে এই নতুন স্ল্যাবে আনা হতে পারে। তামাকজাত দ্রব্য, সিগারেটের মতো নেশার দ্রব্যে অতিরিক্ত কর বসানো হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। 

তবে এই কর হ্রাসের বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য। তাদের দাবি, এই কর হ্রাস হলে তাদের রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। 

যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অঞ্চলভেদে রাজস্বের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। বেকার টিলি এএসএ ইন্ডিয়া এলএলপি-র অংশীদার সুদীপ গুপ্তা বলেন, 'যে সব রাজ্যে জিনিসপত্রের চাহিদা বেশি সেখানে সেবসব রাজ্য লাভবান হবে। কিন্তু পঞ্জাব, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো ঋণ-ভারী রাজ্যগুলি জিএসটি রাজস্বের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। ক্ষতিপূরণ না দিলে তারা গুরুতর চাপের সম্মুখীন হতে পারে।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement