মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা সকলেই এখন অচল। প্রায় সকলের হাতেই রয়েছে ফোন। এবার সেই ফোনের বিল বাড়তে পারে। এমনই দাবি করা হয়েছে ব্রোকারেজ ফার্ম অ্যাক্সিস ক্যাপিটেলের এক রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, টেলিকম সংস্থাগুলি ফের শুল্ক বৃদ্ধির পথে হাঁটতে চলেছে। সেই কারণেই ফোনের বিল বাড়তে পারে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, শীঘ্রই ২৫ শতাংশ বিল বাড়াতে পারে টেলিকম অপারেটররা। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ৫জি বিনিয়োগের পরে লাভজনকতা উন্নত করার লক্ষ্যে এই বৃদ্ধি অর্থবহ।
রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, বিল বৃদ্ধি শহুরে এবং গ্রামাঞ্চল, দুই এলাকার ব্যবহারকারীদের পক্ষে সুবিধাজনক হবে। জানা গিয়েছে, শহুরে পরিবারগুলির জন্য টেলিকম ক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ৩.২ শতাংশ থেকে ৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গ্রামে বৃদ্ধির অঙ্কটা দাঁড়াবে ৫.২ শতাংশ থেকে ৫.৯ শতাংশ।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতী এয়ারটেলে ২৯ টাকা হতে পারে, জিওতে ২৬ টাকা হতে পারে।
মার্চের শেষ ত্রৈমাসিকে জিওতে টেলিকম অপারেটর্স অ্যাভারেজ রেভিনিউ পার ইউজার ছিল ১৮১.৭ টাকা। ২০২৩ সালে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতী এয়ারটেলে এই অঙ্কটা ছিল ২০৮ টাকা এবং ভোডাফোন আইডিয়াতে ১৪৫ টাকা। মার্চের ত্রৈমাসিকের হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন ইন্ডিয়া।
এই সময়ে ভারতের কিছু অংশে ৫জি পরিষেবা শুরু হয়েছে। রোজ রোজ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবার চাহিদাও দেশে তুঙ্গে। স্মার্টফোনের রমরমা চলছে দেশজুড়ে। ফলে ফোন ছাড়া গতি নেই। এই আবহে ফোনের বিল বাড়লে তার আঁচ পড়বে দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠীর উপরে।
অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচন চলে। আর ৩টি দফার ভোট বাকি। আগামী ৪ জুন ভোটগণনা। এই আবহে ফোনের বিল বৃদ্ধি নিয়ে এই রিপোর্ট নয়া মাত্রা যোগ করল।