
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট ট্রানজাকশনের অথেন্টিকেশন মেকানিজমে বড় বদল আনা হল। আর এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নানা ধরনের আর্থিক জালিয়াতি থেকে সুরক্ষিত রাখা।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের পাশাপাশি রিস্ক বেসড চেকস করা হবে। অর্থাৎ সোজা ভাষায় টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের সঙ্গে আরও একটা সুরক্ষাবলয় যোগ করা হবে। যাতে কোনও জালিয়াত সাধারণ মানুষের টাকা লোপাট না করে দিতে পারে।
কবে থেকে লাগু হবে নতুন নিয়ম?
বর্তমানে মোটের উপর ওটিপি বা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের উপরই ভরসা রাখা হয়। তবে সেই সুরক্ষাস্তর বাড়াতে রিস্ক বেসড চেকস আনতে চলেছে আরবিআই। আর এই ব্যবস্থা ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া আরবিআই-এর পক্ষ থেকে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারীদেরও নতুন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও বিদেশি ব্যবসায়ী বা মানুষ নন রেকারিং, ক্রস বর্ডার, কার্ড নট প্রেজেন্ট ট্রানজ্যাকশন করতে চাইলেও অ্যাডিশনাল অথেন্টিকেশন যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন এই নিয়ম?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনই নিত্যনতুন আর্থিক জালিয়াতির খবর সামনে আসে। বিশেষত, ডিজিটাল পেমেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগই সামনে আসে। জালিয়াতের ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারান অগুনতি মানুষ। আর সিস্টেমের এই লুপ-হোলকে ভাঙতেই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আরবিআই।
তারা চাইছে যাতে গ্রাহকেরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের বাইরে অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি ব্যবহার করে। তার মাধ্যমে আগামিদিনে জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে টাকাপয়সা হারানোর আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমবে।
সতর্ক থাকুন
পরিশেষে বলি, ডিজিটাল পেমেন্টের সময় সবসময় সতর্ক থাকুন। কোনও অযাচিত লিংকে ক্লিক করে নিজের কষ্টের পয়সা হারাবেন না। বরং একদম সতর্ক এবং নিশ্চিত হয়েই ডিজিটাল পেমেন্ট করুন। আর অবশ্যই কারও সঙ্গে ব্যাংকের ডিটেলস বা ওটিপি শেয়ার করবেন না। এমনকী ব্যাংকের নাম করে কেউ ফোন করলেও দেবেন না কোনও তথ্য। তাতেই অনায়াসে টাকা খোয়ানোর সমস্যা থেকে এড়িয়ে যেতে পারবেন।
আর একটা কথা, পুলিশে, ইডি, সিবিআই বা কোনও সংস্থার নাম করে যদি কেউ ফোন করে ভয় দেখায়, টাকা চায়, তাহলে দ্রুত পুলিশের শরণাপন্ন হন। এটা ডিজিটাল অ্যারেস্ট হতে পারে। তাই ভুল করেও ভয় পাবেন না। বরং সতর্ক থাকুন। তাহলেই জালিয়াতি থেকে বাঁচবেন।