২০০০ টাকার নোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, ২০০০ টাকার নোট থাকবে, তবে এটি প্রচলন থেকে বের করে দেওয়া হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে অবিলম্বে ২০০০ টাকার নোট দেওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। 'ক্লিন নোট পলিসি'র আওতায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নোট বাতিলের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল।
২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যে ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা করা যাবে। ২০১৬ সালে নোটবন্দির পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট জারি করেছিল। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ২০০০ টাকার নোট কম দেখা যাচ্ছিল। এটিএম থেকেও ২০০০ টাকার নোট কম বের হচ্ছিল। এ বিষয়ে সংসদেও তথ্য দিয়েছে সরকার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার বার্ষিক রিপোর্টে ২০০০ টাকার নোট সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছর, ২০২০-২১ অর্থবছর এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০০০ টাকার একটি নোটও ছাপা হয়নি। এর ফলে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের প্রচলন কমেছে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার সমস্ত নোট তুলে নেওয়া হয়েছিল। এই মুদ্রার পরিবর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নতুন নোট জারি করে। ২০১৭-১৮ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল ২০০০ টাকার নোট। এই সময়ে বাজারে ২০০০-এর ৩৩,৬৩০ লক্ষ নোট প্রচলন ছিল। যার মোট মূল্য ছিল ৬.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে গত ২ বছরে ২০০০ টাকার একটি নোটও ছাপা হয়নি।