scorecardresearch
 

Stock Market Crash: NDA জেতা সত্ত্বেও শেয়ার বাজারে ভয়ানক দুরাবস্থা কেন? সহজ ভাষায় বুঝুন

Stock Market Crash: ভোটের রেজাল্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ NDA। তা সত্ত্বে শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে হু-হু করে তাবড় সংস্থার শেয়ার পড়তে শুরু করে। দুপুর ১২টা নাগাদ সেনসেক্স 6000 পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। নিফটি 1900 পয়েন্টে নেমে যায়। ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যায়, এগজিট পোলের তুলনায় NDA-র সিট অনেকটাই কম।

Advertisement
শেয়ার বাজারের এই অবস্থার কারণ বুঝুন, সহজ ভাষায়। শেয়ার বাজারের এই অবস্থার কারণ বুঝুন, সহজ ভাষায়।
হাইলাইটস
  • ভোটের রেজাল্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ NDA।
  • তা সত্ত্বে শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত।
  • সব মিলিয়ে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা আছে। তাতেই বিনিয়োগকারীদের ভয়।

Stock Market Crash: ভোটের রেজাল্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ NDA। তা সত্ত্বে শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে হু-হু করে তাবড় সংস্থার শেয়ার পড়তে শুরু করে। দুপুর ১২টা নাগাদ সেনসেক্স 6000 পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। নিফটি 1900 পয়েন্টে নেমে যায়। ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যায়, এগজিট পোলের তুলনায় NDA-র সিট অনেকটাই কম। তারই প্রভাব পড়ে বাজারে। তবে NDA-ই জিতবে নিশ্চিত হওয়ার পর ফের বাজার কিছুটা ধাতস্থ হয়। প্রায় ২০০০ পয়েন্ট রিস্টোর হয়। তবে তা সত্ত্বেও একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।  সেটা হল, NDA ফেরা সত্ত্বেও বাজারের এই হাল কেন? আরও জানুন: ভোটের ফলে ধস শেয়ার বাজারে, আদানি, SBI-সহ এই স্টকগুলিতে বিরাট পতন  

জোটে বাড়তি ভর করে সরকার গঠন?

NDA-র তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি-কে শরীক দলগুলির উপর অনেকটাই ভর করতে হবে। তাছাড়া INDIA জোটও বেশ ভাল ফল করেছে। সব মিলিয়ে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা আছে। সেটাতেই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বড় ভয়।

শেয়ার বাজারের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, দেশে যখনই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠকা নিয়ে কোনও সরকার তৈরি হয়েছে, তখনই বাজার চাঙ্গা হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ধরে নেন যে, এই সরকারের একটি নিশ্চিত, স্থির ভবিষ্যত রয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলিও একটানা চলে।

কিন্তু জোট সরকারে শরীক দলগুলির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হতে পারে। পলিসি-তে পরিবর্তন আসতে পারে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না-ও হতে পারে। সেই কারণেই এমন ক্ষেত্রে শেয়ারে টাকা ধরে রাখতে ভয় পান বিনিয়োগকারীরা। সেনসেক্স-নিফটির গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই এগুলি বোঝা যাবে।

আরও পড়ুন

स्टॉक मार्केट क्रैश

সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি

2014 ও 2019 সালে, বিজেপি নির্বিঘ্নে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এই 10 বছরে, BSE সেনসেক্স 50000 পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। 2014 সালে, সেনসেক্স 21,222-এর স্তরে ছিল। স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকার আসার পর সেটি 76,000-এর অঙ্ক পেরিয়ে যায়। চলতি বছরের 21 মে, BSE মার্কেট ক্যাপ 5 ট্রিলিয়ন ডলারের স্তরে পৌঁছেছে। বর্তমানে ভারতের স্টক মার্কেট বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম বাজার।

Advertisement

एनडीए

অর্থনীতির গতি 

স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সরকার এলে তাদের অর্থনৈতির দৃষ্টিভঙ্গি স্থির থাকে। গত ১০ বছরে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে। বর্তমানে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি।  সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য কোনও চাপের মুখে পড়তে হয় না। কিন্তু, জোট সরকারে এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য শরীকদের সম্মতি প্রয়োজন। বহুক্ষেত্রে পরে তাদের চাপে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ নিয়ে বারবার বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।

शेयर बाजार

এক ধাক্কায় বিনিয়োগকারীরা ৪৫ লাখ কোটি টাকা হারিয়েছেন

বাজার ক্লোজ হওয়ার সময় সেনসেক্স 4389.73 পয়েন্ট বা 5.74 শতাংশ কমে 72,079.05 এ ছিল। নিফটি 1379.40 পয়েন্ট বা 5.93 শতাংশ কমে 21,884.50 -এ ক্লোজ হয়। শেয়ার বাজারের এই সুনামিতে বিনিয়োগকারীরা ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন।
 

Advertisement