সোমবার শুরু বাজেট অধিবেশন। আগামিকাল ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ সালের সাধারণ বাজেট পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাজেট নিয়ে ব্যবসায়ীমহল থেকে আমজনতা, প্রত্যেকেরই থাকে বিভিন্ন আশা আকাঙ্ক্ষা। এর মধ্যে সবচেয়ে করে বেশি বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকেন চাকুরিজীবী আয়কর প্রদানকারীরা। আগামিকাল চতুর্থ সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়কর প্রদানকারীরা লাগাতার সরকারের কাছে ইনকাম ট্যাক্সে ছাড়ের আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁদের আশা, এবার হয়ত আবেদনে সাড়া দেবে সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার হয়ত করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে সরকার।
২০১৪ সালে হয়েছিল পরিবর্তন
প্রায় ৮ বছর আগে আয়করে ছাড় পেয়েছিলেন করদাতারা। ২০১৪ সালে আয়করের সীমা ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করে মোদী সরকার। একইসঙ্গে ৬০ বছরের বেশি এবং ৮০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের আয়করে ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়। সেই সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন অরুণ জেটলি। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, এবার করদাতাদের স্বস্তি দিতে পারে সরকার। সেক্ষে আয়কর প্রদানে ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে সেটি ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে ৩.৫ লক্ষ।
আপাতত আয়কর প্রদানকারীদের কাছে ২টি বিকল্প
২০২০ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন কর ব্যবস্থা চালু করেছে। নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে, যাঁরা আয়কর ছাড় নিতে চান না তাঁদের জন্য করের হার হ্রাস করা হয়। নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে, ২.৫ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে আয়করের হার ৫ শতাংশ। পুরনো ব্যবস্থায়, ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ের উপর ২০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হত, যেখানে নতুন ব্যবস্থায় করের হার ১০ শতাংশ। পুরনো ব্যবস্থায় ৭.৫ থেকে ১০ লক্ষের মধ্যে আয়ের ওপর ২০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হয়, সেখানে নতুন পদ্ধতিতে করের হার ১৫ শতাংশ।
নতুন আয়করের ধাপ
০-২.৫ লক্ষ - ০ শতাংশ
২.৫-৫ লক্ষ - ৫ শতাংশ
৫-৭.৫ লক্ষ - ১০ শতাংশ
৭.৫-১০ লক্ষ - ১৫ শতাংশ
১০-১২.৫ লক্ষ - ২০ শতাংশ
১২.৫-১৫ লক্ষ - ২৫ শতাংশ
১৫ লক্ষর ওপরে - ৩০ শতাংশ
পুরনো আয়করের ধাপ
২.৫ লক্ষ পর্যন্ত - ০ শতাংশ
২.৫-৫ লক্ষ - ৫ শতাংশ
৫-১০ লক্ষ - ২০ শতাংশ
১০ লক্ষর ওপরে - ৩০ শতাংশ
আরও পড়ুন - আজও স্বাভাবিকের নীচেই পারদ, কড়া ঠান্ডা আর কতদিন?