গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি ক্য়াপিটালের ৯০% শেয়ার কিনতে চলেছে বেইন ক্যাপিটাল(Bain Capital LLC)। শেয়ারের বিনিময়ে বেইন ক্যাপিটাল প্রায় ১৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আদানি ক্যাপিটাল একটি শ্যাডো ব্যাঙ্কিং সংস্থা।
শ্যাডো ব্যাঙ্কিং কী? এই ধরণের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় ঋণদাতা, এজেন্ট এবং অন্যান্য ঋণ মধ্যস্থতাকারীরা থাকেন। এঁরা প্রথাগত ব্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে পড়েন না। শ্যাডো ব্যাঙ্কিং সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত হয়। প্রথাগত ব্যাঙ্কিংয়ের থেকে অনেকটা আলাদা।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরব গুপ্ত জানিয়েছেন, অবশিষ্ট ১০% অংশীদারিত্ব ধরে রাখা হবে। বেইন ক্যাপিটাল ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আরও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করবে।
সংস্থার ম্যানেজমেন্টের কাছে ১০% শেয়ার রয়েছে। বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানি প্রায় ৯০%-এর মালিক।
শুধু বেইন ক্যাপিটালই নয়। কার্লাইল(Carlyle) নামের এক বিনিয়োগকারী সংস্থাও এই অধিগ্রহণের দৌড়ে ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে বেইন ক্যাপিটালই।
আদানি গোষ্ঠী বর্তমানে পরিকাঠামো উন্নয়ন ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছে। মুম্বইয়ের কাছে একটি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ করছে তারা। আদানি ক্যাপিটাল যদি বেইনের কাছে তাদের এই ব্যবসা বেচে দেয়, তবে একসঙ্গে প্রচুর টাকা চলে আসবে তাদের অ্যাকাউন্টে। এটি ব্যালেন্স শিটে লায়াবিলিটি কমাতে সাহায্য করে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে আদানি ক্যাপিটাল তাদের ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করে। সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ভারত জুড়ে তাদের ১৬০টিরও বেশি শাখা রয়েছে।
নন-ব্যাঙ্কিং এই সংস্থা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে IPO করারও পরিকল্পনা করছিল। তাতে ২ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। ১০% শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিলেন সংস্থার এমডি-সিইও গৌরব গুপ্ত।
আদানি ক্যাপিটাল লেম্যান ব্রাদার্স এবং ম্যাককুয়ারি ইনভেস্টমেন্টের একজন অভিজ্ঞ ব্যাঙ্কার ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি আদানি ক্যাপিটালে যোগ দিয়েছিলেন।
গত কয়েক মাসে বেইন ক্যাপিটাল, কার্লাইল এবং সারবেরাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সহ তিনটি প্রাইভেট ইক্যুইটি গোষ্ঠী আদানি ক্যাপিটাল ক্রয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।