রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আশার আলো। ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে মোদী সরকার মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য। এখন তাঁরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন মাত্র ৬ শতাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এতটা পার্থক্যের ফলে সরকারি কর্মীরা ক্ষুন্ন। তাঁরা আন্দোলনও করছেন লাগাতার। এই অবস্থায় ডিএ ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার।
সরকারি কর্মীদের এমন আশার আর একটি কারণ হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের বৈঠক। তৃণমূল প্রভাবিত এই সংগঠনের তরফে জানুয়ারিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, 'জানুয়ারি মাসেই সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমরা তৈরি। সরকারি কর্মীদের সুবিধা অসুবিধের কথা তুলে ধরা হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এখনও বৈঠকের তারিখ ঠিক হয়নি। তবে জানুয়ারিতেই হবে বলে আমরা আশাবাদী।'
সেদিনের বৈঠকের পর কি ডিএ ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী ?
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি সাফ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে সব সুবিধে কর্মীদের দিয়ে থাকেন, তা অন্য কোনও রাজ্যের কর্মীরা পান না। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার বিষয়টিও সরকারের ঐচ্ছিক। আবশ্যিক নয়। যদি কেউ ডিএ চান তাহলে তিনি কেন্দ্রের চাকরি খুঁজে নিতে পারেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা আগেও বলেছেন। তারপর ডিএ ঘোষণাও করেছেন। সুতরাং তিনি তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর হাওয়া বুঝে ডিএ ঘোষণা করতে পারেন। কারণ, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে একাধিক ঘোষমা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জমির পাট্টা বিলি থেকে শুরু করে অনুদান-নানা ক্ষেত্রে 'কল্পতরু' মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কর্মীদের মন পেতেও একই কাজ করতে পারেন তিনি। বাড়াতে পারেন ডিএ।
সরকারি কর্মী সংগঠনগুলো এও মনে করছে, নতুন বছরের আগেই ডিএ-র দাবিতে ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চলেছে কর্মী সংগঠনগুলো। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে নবান্ন অভিযান ও বনধের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে খবর। আবার শিক্ষক সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আবেদন জানানো হয়েছে। তাই বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।