ই-মেল প্রযুক্তি অনেক পুরনো এবং বছরের পর বছর ধরে প্রায় সবাই ব্যবহার করে আসছে। আজও, যখনই কাউকে অফিসিয়াল নথি বা অন্যান্য জিনিস পাঠাতে হয়, তারা ই-মেল ব্যবহার করে। ই-মেল ছাড়া কোনও কোম্পানি কাজ করে না। যে কারণে এত পুরনো হওয়া সত্ত্বেও ই-মেলের কাযকারিতা শেষ হয়নি। ই-মেলে অনেক ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা মানুষের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। যখনই আমরা কাউকে ই-মেল করি, অনেক সময় CC এবং BCC ব্যবহার করি। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এখনও এইগুলির অর্থ কী তা জানেন না। আজ আমরা আপনাদের বলব ই-মেলে CC এবং BCC এর অর্থ কী এবং কেন ব্যবহার করবেন।
CC বলতে কী বোঝায়?
ই-মেলে CC-এর পূর্ণরূপ হল কার্বন কপি এবং BCC হল ব্লাইন্ড কার্বন কপি। প্রাচীনকালে কাগজের মাধ্যমে অনেক যোগাযোগ হতো। সে সময় কাউকে কাগজের কপি বানাতে হলে কাগজের নীচে আরেকটি কাগজ রেখে তার মাঝে কার্বন পেপার রেখে কপি তৈরি করতে হতো। এমতাবস্থায় এক কাগজে যা লেখা ছিল তাও কার্বন কপির মাধ্যমে অন্য কাগজে ছাপা হয়ে যেত। এই কারণে, নীচের কাগজে মূল কপির কার্বন কপি শুরু হয়েছিল। কাগজ থেকে ই-মেলে স্থানান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্বন কপি সিসি আকারে রূপ নেয়। কারণ ই-মেলেও একজনের একটি কার্বন কপি থাকা দরকার। এভাবেই সিসির জন্ম হয়।
এবার জেনে নিন বিসিসি মানে কী?
BCC মানে ব্লাইন্ড কার্বন কপি। ইমেলে CC যেভাবে কাজ করে ঠিক তেমনই, কাউকে ই-মেলের কার্বন কপি পাঠাতে BCC ব্যবহার করা হয়। যাইহোক, এটি সিসি থেকে একটু ভিন্ন, বিসিসি-র কাজ করার পদ্ধতিতে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। আপনি যখন কাউকে একটি ই-মেল CC করেন, তখন সেন্ডারের মেল অ্যান্ড্রেস ও সকল রিসিভাররা একে অপরের মেল অ্যাড্রেস দেখতে পারবে। অর্থাৎ সিসি-তে থাকা সবাই জানতে পারবে আর কাকে কাকে সিসি করা হয়েছে। BCC-র ক্ষেত্রে সমস্ত ই-মেল ঠিকানা লুকানো থাকে। তাই TO এবং CC ক্ষেত্রগুলি দেখতে পাওয়া যায় না। বিসিসি-তে থাকা কেউই জানতে পারবে না আর কাকে কাকে মেলটি পাঠানো হয়েছে।