স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে এসএফআই (SFI)। এর আগে ৪ আগস্ট কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে পাবলিক কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল। ৫ আগস্ট মিছিল, পথসভা করেছিল। ৬-১০ আগস্ট চলে সই সংগ্রহ। ১১ তারিখ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
দিন কয়েক আগে সংগঠনের রাজ্য কমিটির দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে এসএফআই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাাচার্য। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও পার্থক্য নেই। গত দেড় বছরে একাধিক বার হোটেল, বার, রেস্তোঁরা খোলা বন্ধ হয়েছে। এর মাঝে ভোট হয়ে গিয়েছে। সরকার যেন বলে দিচ্ছে, স্মার্টফোন থাকে, ডেটা খরচ বহনের ক্ষমতা থাকে, তবেই তুমি শিক্ষা পাবে। তিনি বলেন, "যাবতীয় মোচ্ছব চলবে। কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলা যাবে না। না খোলার কোনও যৌক্তিকতা আমরা দেখতে পারছি না।" তাঁর কটাক্ষ, অনলাইন লেখাপড়া সংস্থার সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়েছিল কিনা জানি না! ডিজিটাল বিভাজনের শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। রাজ্যজুড়ে অন্তত এক হাজার জায়গায় বসে পড়বে এসএফআই। সৃজন জানান, রাস্তা আটকে পড়ুয়ারা বসে পড়বে। সাহায্য করবেন শিক্ষকরা। প্রতীকী প্রতিবাদ করব। ওপেন ক্লাস রুম হবে।
সৃজন ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ পড়ুয়াকে অন্যায় ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের সাসপেনশন বেড়েই চলেছে। রূপা চক্রবর্তী, ফাল্গুনি পান এবং সোমনাথ সৌয়ের লেখাপড়া, জীবন ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃতীয় দফার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁদের ৯ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গা করছে। সাসপেনশন তুলতে হবে। মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।