Visva-Bharati University: অবসরের সময় দুর্নীতি আটকাতে কঠোর ব্যবস্থা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অধ্যাপক থেকে শুরু করে কর্মীদের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট যাচাই করা হবে। সে ব্য়াপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বভারতীর কোনও একটি বিদ্যালয়ে এক জন শিক্ষাকর্মী অবসরের সময় বয়স বাড়িয়ে নিয়ে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই অবসরের সময় দুর্নীতি আটকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-র শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় শিক্ষার যোগ্যতা মার্কশিট এবং বয়সের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ন্যাক (NAAC)-এর চলে যাওয়ার পর এই কাজ শুরু করবে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর দু'টি বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের একটির এক শিক্ষিক কর্মী তাঁর বয়স দু'বছর বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। এর ফলে যে সময়ে তাঁর অবসর নেওয়া উচিত, তার দু'বছর পর অবসর নেন বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়টি যখন সামনে আসে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ কঠোর সিদ্ধান্ত নেন। ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে যেমন তদন্ত শুরু হয়েছে, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের শিক্ষার যোগ্যতা, বয়সের প্রমাণপত্র-সহ সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।
মূলত চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এই কর্মী অধ্যাপকেরা যে সব তথ্য জমা দিয়ে ছিলেন। ন্যাকের টিম চলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এই কাজ শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্বভারতীর কিছু কর্মীর চাকরি পাওয়ার সময় শিক্ষগত যোগ্যতা এবং বয়সের প্রমাণপত্র নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সজিত বসু উপাচার্য থাকার সময় অনেকের শিক্ষার যোগ্যতার এবং বয়সের প্রমাণপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছিল। এবং একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়ে ছিল।