পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এ বছরের মাধ্যমিকের ফল। এ বছর পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ১১ লাখ পড়ুয়া। এ বছরের মাধ্যমিকে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১,২০,৯৬১ জন বেশি, শতাংশের বিচারে যা ১১ শতাংশ বেশি।
এবারের পরীক্ষায় পাশ করেছে ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন, পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। এ বছরের মাধ্যমিকে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি হলেও পাশের হারে এগিয়ে ছেলেরাই। ছাত্রদের পাশের হার ৮৮.৫৯ শতাংশ আর ছাত্রীদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৮৫ শতাংশ।
এবারের মাধ্যমিকে মেধাতালিকার প্রথম এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছে ১১৪ জন পড়ুয়া। এ বারে মাধ্যমিকে অষ্টম স্থানাধিকারীর সংখ্যা ২২ জন, নবম স্থানে রয়েছে ১৫ জন পড়ুয়া, দশম স্থানে ৪০ জন রয়েছে।
এ বছরও পাশের হারে রাজ্যের মেধাতালিকায় প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পরেই রয়েছে কালিম্পং (৯৪.৭১%), পশ্চিম মেদিনীপুর (৯৪.৬২%)। এই তিন জেলায় পাশের হার ৯৪ শতাংশেরও বেশি।
কলকাতায় এ বছরের মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৪ শতাংশর বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় মাধ্যমিকের পাশের হার ৯১.৯৮ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৯.০৮ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে পাশের হার ৯২.৫৯ শতাংশ।
এই বছর মোট ১০,৯৮,৭৭৫ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছে যা প্রায় অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫,০০,০৫৯ জন আর ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬,২৬,৮০৪ জন।
স্ক্রুটিনির জন্য পরীক্ষার্থীদের ১৫ দিনের সময় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুলের মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিক স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জানাতে পারে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ।
২০২০ সালের মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ। সে বছরও জেলাভিত্তিক পাশের হারে শীর্ষে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৫৯ শতাংশ)। গত বছর করোনার কারণে পরীক্ষা হয়নি। বার্ষিক মূল্যায়নের মাধ্যমে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে পাশের হার ছিল ১০০ শতাংশ। তবে পরীক্ষা না হওয়ায় গত বছর কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি।