রাজ্যে আরও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (bangla sahayata kendra ) তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৩টি জেলায় বর্তমানে ৩,৫৪১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে মোট ৭,১২০ জন কর্মরত। এবার আরও ১,৪৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তাতে রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েতে বিএসকে (BSK) স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য় হল, এই এত সংখ্যক বিএসকে কেন্দ্রগুলিতে ২,৯২২ জন কর্মী নিয়োগেও (Bangla Sahayata Kendra Recruitment) মিলেছে মন্ত্রিসভার অনুমোদন।
এখন সব সরকারি প্রকল্পেই আধার একরকম বাধ্যতামূলক। সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা পেতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড ও এখন ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক। কয়েকটি ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস এবং কম সার্ভিস সেন্টার বাদে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়া যায় না। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া যায়। তবে আধার সংক্রান্ত কাজ হয় না। সেই বিষয়টা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ রয়েছে। ফলে সেই সমস্যারই এবার সমাধান হতে চলেছে। এবার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেই (বিএসকে) মিলবে আধার সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা (Aadhaar Services)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এই অনুমতি দিয়েছে রাজ্যকে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে নতুন কেন্দ্রগুলি চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিবিধ পেনশন সহ যাবতীয় তথ্য কিংবা ফর্মও এই বিএসকেগুলিতে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ইলেকট্রিক বিল পর্যন্ত জমা দেওয়া যায়। এবার আধার পরিষেবাও পাওয়া যাবে।