টেট (TET) নিয়ে জটিলতার মাঝেই নিজেদের অবস্থানে অনড় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)। আইন ও নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হবে বলে আবারও জানিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal)। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে। মেধা মেনে চলব। আইন মেনে চলব।' পর্ষদ সভাপতির কথায় একটা বিষয় পরিষ্কার যে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনের (TET Agitation) কাছে তাঁরা পিছু হঠছেন না। বরং টেট উত্তীর্ণদের আমরণ অনশন তুলে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আবারও আবেদন করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
সোমবার থেকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা (2014 TET Pass) করুণাময়ীতে আন্দোলনে বসে রয়েছেন। তাঁরা আমরণ অনশনও শুরু করেছেন। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। অভিযোগ, দু’বার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পরেও চাকরি পাননি তাঁরা। তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। অনশন করতে গিয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই প্রসঙ্গে আজ গৌতম পাল বলেন, 'যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, সেটা অনভিপ্রেত। অনশন তুলে নিন। সবাই সুস্থ থাকুন।'
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সল্টলেকে টেট আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমেছেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা (2017 TET Pass)। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন যে ছ’বছর পর এই প্রথমবার তাঁরা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এখন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরির দাবি করছেন। তাতে বিপাকে পড়বেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। শূন্যপদের সংখ্যা কমে যাবে। তাই তাঁরাও নিজেদের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করবেন। সব মিলিয়ে টেট নিয়ে জটিলতা কাটার বদলে ক্রমশ বাড়ছে। সমাধানের কোনও রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না।
এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘আমরা কাউকে বাদ দিতে পারি না। আমাদের কাছে সবাই সমান। আমি বলতে পারি না যে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা আগে সুযোগ পাবেন। তাঁরা দু'বার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। তাই বলে তাঁদের বাদ দিতে পারি না। সবার গ্রহণযোগ্যতা একই সারিতে। কাউকে এগিয়ে রাখছি না। তবে, আগে টেট পাশ করা প্রশিক্ষণ নেওয়ারা নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন।'