scorecardresearch
 

Bratya Basu : এবার ৪ বছরে মিলবে 'ডিগ্রি', রাজ্যের 'পৃথক শিক্ষানীতি' দাবি ব্রাত্যর

ব্রাত্য বসু আরও লেখেন, "৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না। এক্ষেত্রে তাদের রাজ্যের বাইরে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তারা বিপদে পড়তো। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স রেখে দিলে বিগত বাম সরকারের ক্লাস ওয়ান থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়া বা ব্রিজ কোর্স চালু করার মতো বা হয়তো তার থেকেও বেশি ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্ত হত"। 

Advertisement
শিক্ষানীতি নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের
হাইলাইটস
  • রাজ্যে এবার ৪ বছরের ডিগ্রি
  • চালু হবে পৃথক শিক্ষানীতি
  • ট্যুইটে জানালেন ব্রাত্য বসু

শিক্ষাক্ষেত্রে বড় খবর। এবার পৃথক শিক্ষানীতি চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বুধবার ট্যুইট করে একথা জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ট্যুইটে ব্রাত্য বসু যা লিখেছেন তা হল, "একটি বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচারতি হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করছে, যেখানে সমস্ত 'বেস্ট প্র্যাকটিসেস' বা ভাল ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে। এই রাজ্য শিক্ষানীতি দ্রুত আপলোড হবে"। 

ব্রাত্য বসু আরও লেখেন, "৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না। এক্ষেত্রে তাদের রাজ্যের বাইরে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তারা বিপদে পড়তো। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স রেখে দিলে বিগত বাম সরকারের ক্লাস ওয়ান থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়া বা ব্রিজ কোর্স চালু করার মতো বা হয়তো তার থেকেও বেশি ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্ত হত"। 

শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, "মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আপামর ছাত্রছাত্রীর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত চালু  করতে বলেছেন। জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন জিনিস, যেমন বিদ্যালয়ে ৫+৩+৩+৪ শ্রেণি চালু করা বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ, এইরকম অনেকগুলি নীতির বিরোধিতা আমরা করছি এবং আমাদের রাজ্য শিক্ষানীতিতে গ্রহণ করিনি"। 

জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পাঠক্রম কী হবে, বা কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি মেনে স্নাতক কোর্স চার বছরের করা হবে কি না, সেই সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য একটি ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী৷ এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকী দাশগুপ্ত ও উচ্চশিক্ষা সংসদের যুগ্ম সচিব মৌমিতা ভট্টাচার্য কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয় ওই কমিটিকে। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় যে শিক্ষানীতি সেখানেও স্নাতক স্তরে ৪ বছরের পাঠ্যক্রমের কথা বলা হয়েছে। 

Advertisement

আরও পড়ুন - মেডিক্যাল টেস্ট সুজয়কৃষ্ণের, 'কালীঘাটের কাকু'কে হেফাজতে চাইতে পারে ED


 

Advertisement