দিল্লির মুখার্জি নগর হোক বা রাজস্থানের কোটা শহর। দেশ-বিদেশ থেকে পড়ুয়ারা এসব কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে পড়তে আসে। কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলো বয়সের তোয়াক্কা না করেই তাদের প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ভর্তি করে। অনেক সময় যথেচ্ছ ফি আদায়ের ঘটনাও সামনে আসে।
এই ধরনের ঘটনা রুখতে, কেন্দ্র সরকার এখন একটি নতুন নির্দেশিকা নিয়ে এসেছে। যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী পড়ুয়াদের আর কোচিংয়ে ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে কোচিং ইনস্টিটিউট গুলি কোনও পড়ুয়ার কাছ থেকে যথেচ্ছ ফি নিতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকার কোচিং সেন্টারগুলিতে একাধিক ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চাইছে। দেখে নেওয়া যাক, কোন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
১. কোচিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে।
২. ভর্তির (রেজিস্ট্রেশন) জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে ভাল র্যাঙ্ক বা ভাল নম্বরের গ্যারান্টির মতো বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না।
৩. কোচিং ইনস্টিটিউট ১৬ বছরের কম বয়সী ছাত্রদের ভর্তি করতে পারবে না।
৪. ছাত্রের বয়স ১৬ বছরের কম হলে, মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষার পরেই ছাত্রটিকে ভর্তি নিতে হবে৷
৫. কোচিং সেন্টার পড়ুয়াদের ভালো ফলাফল দাবি করে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিতে পারে না।
৬. কোচিং সেন্টারের নিয়ম অনুযায়ী কম নম্বর থাকলেও পড়ুয়াকে ভর্তি নিতে হবে।
৭. কোনও নৈতিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোনও শিক্ষককে কোচিংয়ে রাখা যাবে না।
৮. কোচিং সেন্টারের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে যাতে শিক্ষকের যোগ্যতা, কোর্স/পাঠ্যক্রম, কোর্স সমাপ্তির সময়কাল, হোস্টেল সুবিধা (যদি থাকে), ফি নেওয়া হয়, সহজ প্রস্থান নীতি, ফি ফেরত নীতি, কোচিং নেওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।
৯. যারা কোচিংয়ে পড়ার পর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন তাদের বিবরণও ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
১০. পড়ুয়াদের স্কুলের সময় কোচিং ক্লাস করা যাবে না।