এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-কে কড়া নির্দেশে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। মঙ্গলবার বিচারপতি বলেন,'যাঁরা বিতর্কিত নিয়োগ পেয়েছেন, সিবিআই তাঁদের ধরে সোজা জিজ্ঞাসা করুক, কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে'! বিচারপতি বসু (Justice Biswajit Basu) আরও বলেন, কাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে এটা জানতেই হবে সিবিআইকে (CBI)। প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয় মামলা। এর আগে ওএমআর-এর তথ্য বিকৃত করার কথাও আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। তার প্রেক্ষিতে সেই সব প্রার্থীর নাম, ঠিকানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
এদিন এসএসসি-কে (SSC) প্রশ্ন করা হয়, 'যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি'? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালাতে সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তাঁর আরও প্রশ্ন, 'এসএসসি এদের সরাতে নিজে থেকে পদক্ষেপ করছে না কেন'? একইসঙ্গে ৪ হাজার ৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও ওয়েটিং লিষ্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রকাশ করার নির্দেশও এদিন দেন বিচারপতি। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেই উত্তরপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে যে সব ওএমআর উদ্ধার করেছে সেগুলোই প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত মনে রাখা দরকার, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) গ্রুপ ডি (Group D) সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। গত ডিসেম্বরেই এই গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় বিচারপতি কড়া পদক্ষেপের কথা বললে, রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ থেকে বসিয়ে দিলে বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানো, স্কুলের তালা খোলার লোক পাওয়া যাবে না। তারপর আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে নামের তালিকা ডিআই-দের পাঠানোক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখার আদালতের নির্দেশ মতো ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওএমআর শিটগুলি প্রকাশিত হয় কিনা।