NEET-এর রেজাল্ট পুনর্মূল্যায়নের জেরে নম্বর কমতে পারে ৬ টপারের। সম্প্রতি ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) অনিয়ম এবং বেশি বেশি স্কোরের অভিযোগের ভিত্তিতে NEET-UG মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার নম্বর পুনঃমূল্যায়ন করছে। সূত্র মারফত এমনটা জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, পরীক্ষা চলাকালীন কম সময় বা অন্য সমস্যার কারণে 'গ্রেস মার্কস' দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই গ্রেস মার্কসের কারণেই অনেকের নম্বর বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের একাংশের। সেই নম্বর পুনর্মূল্যায়নের ফলে ৬৭ জন টপ স্কোরারের মধ্যে ৬ জনের নম্বর প্রভাবিত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। একটি সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, এদের স্কোর 60-70 পয়েন্ট কমানো হতে পারে। এর ফলে মূলত হরিয়ানার ঝাজ্জারের এক পরীক্ষাকেন্দ্রের ছাত্ররা প্রভাবিত হবে৷
সুপ্রিম কোর্টে NEET-এ কারচুপির অভিযোগে একাধিক আবেদন দায়ের হয়েছে। তাতে যেমন কাউন্সেলিং বন্ধ করার দাবি করা হয়েছিল, তেমনই অবিলম্ব সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি। তাই আপাতত কাউন্সেলিং বন্ধ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এখনই সিবিআই তদন্তেও সায় দেয়নি শীর্ষ আদালত।
NEET সংক্রান্ত চারটি মামলার প্রেক্ষিতে NTA-কে নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই নোটিশের জবাব ২ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুলাই।
NEET-এর ফল প্রকাশের পরেই কারচুপির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এতজন টপার হল কীভাবে? ৬৭ জন কীভাবে ৭২০-তে ৭২০ পেতে পারেন? পুরোটাই বেশ সন্দেহের চোখেই দেখছেন বাকি পরীক্ষার্থীরা। NTA-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। NTA একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
স্নাতক স্তরে মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট (NEET) নেওয়া হয়। ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা এটি। এবারের NEET-এর ফলাফলে অসঙ্গতি নিয়েই তুঙ্গে বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। নতুন পিটিশনে NEET-UG 2024-এর রেজাল্ট প্রত্যাহার করে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফয়েজ এবং ডাঃ শেখ রোশন মোহিদিন এই পিটিশন দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, এতজনের 718 এবং 719-র মতো কাঁড়িকাঁড়ি নম্বর পাওয়া অসম্ভব।
পিটিশনে দাবি করা হয়, একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকেই ৬৭ জন পরীক্ষার্থী সম্পূর্ণ 720 নম্বর পেয়েছে। 'পরীক্ষার্থীদের দেওয়া গ্রেস মার্কের কোন যৌক্তিকতাই নেই এবং তাদের দেওয়া গ্রেস মার্ক অনুযায়ীও কোন তালিকা শেয়ার করা হয়নি। তাছাড়া, গ্রেস মার্ক দেওয়ার কারণ হল সময়ের অপচয় হয়েছে। এটি সম্পর্কে পরীক্ষার আগেই পড়ুয়াদের জানানো উচিৎ ছিল।