scorecardresearch
 

নিয়োগ দুর্নীতি: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ বহাল, গ্রুপ D মামলার শুনানি পিছোল

গ্রুপ ডি মামলায় বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১,৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল, ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিলের ফলে যে শূন্যস্থান তৈরি হবে, সেখানে ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নিয়োগ করতে হবে।

Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট- সুপ্রিম কোর্ট-
হাইলাইটস
  • পিছিয়ে গেল গ্রুপ ডি মামলার শুনানি
  • অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ বহাল
  • মামলার শুনানি আগামী বুধবার

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল প্রুপ ডি মামলার শুনানি। ফলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপরে বহালই রইল স্থগিতাদেশ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ফের একবার গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। 

গ্রুপ ডি মামলায় বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১,৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল, ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিলের ফলে যে শূন্যস্থান তৈরি হবে, সেখানে ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিচারপতি বলেছিলেন, দুর্নীতি করে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাই যাঁরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাঁদেরই চাকরি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, দুর্নীতি না হলে ওয়েটিং তালিকায় থাকা যোগ্যরা চাকরি পেতেন। তাছাড়া বাগ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আগেই ৬০৯ জনের চাকরি বাতিল হয়। সেই শূন্যপদেও নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরীহারার। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু চাকরি বাতিল এবং সেই স্থানে মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ করার উপর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহালই রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিচ্যুতদের একাংশ। আদালতে চাকরিজীবীদের এক আইনজীবী দাবি করেন, কোনও নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে সেখানে আর নিয়োগ করা যায় না। নতুন করে মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ করতে হয়। সুপ্রিম কোর্টও অনেক রায়ে এই কথা বলেছে। অথচ  ক্ষেত্রে পুরনো তালিকা থেকেই চাকরি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এরপর গত ৩ মার্চ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে স্থগিত হয়ে যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। এদিন শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ফলে আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা।  

Advertisement

আরও পড়ুন - মাসে মাত্র এত টাকা রোজগারেও হতে পারেন কোটিপতি, রইল ফর্মুলা


 

Advertisement