চুমু খাওয়ার ইতিহাসভালোবাসা আর চুমু যেন সমার্থক। তাই তো পৃথিবীর মহান সব সাহিত্য, সঙ্গীতে প্রেমের পাশাপাশি হেঁটেছে চুমু।
আবার চুম্বনের একটা অন্য অর্থও রয়েছে। অনেকেই স্নেহ থেকেও চুমু খান। তার মাধ্যমে প্রকাশ করেন নিজের ভালোবাসা ও স্নেহ।
তবে প্রশ্ন হল, কীভাবে চুমু খেতে শিখল মানুষ? আর সেই নিয়েই খোঁজ চালিয়েছিলেন কিছু বিজ্ঞানী। তাঁরাই খুঁজে বের করেছেন কবে প্রথম চুমু খেয়েছিল মানুষ।
ফিরে যেতে হবে ৫০ হাজার বছর আগে
ডেইলি মেইলের একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, ৫০ হাজার বছর আগে প্রথমবারের জন্য চুমু খেয়েছিল মানুষ। আর সেটা তারা শিখেছিল আমাদের খুবই কাছের আত্মীয় নিয়েন্ডারথ্যালসের থেকে। নতুন এই গবেষণায় দেখা যায়, নিয়েন্ডারথ্যালসরা প্রথম চুমু খেয়েছিল আমাদের পূর্বপুরুষদের। সেই শুরু। এরপর আমাদের রক্তে মিশে গিয়েছে এই অভ্যাস। ভালোবাসা প্রকাশের নতুন ভাষা খুঁজে পেয়েছি আমরা।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এবং ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এর প্রমাণও খুঁজে পেয়েছে। তাঁরা জানতে পেরেছে যে ৫০ হাজার বছর আগেই এই আশ্চর্য জিনিসটি শিখেছিল মানুষ। সেটা তারা নিয়েন্ডারথ্যালসদের থেকেই শিখেছিল।
আসলে মানুষ হল হোমো সেপিয়েন্স। আর আমাদের খুব কাছের আত্মীয় হল নিয়েন্ডারথ্যালসরা। তাদের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল হোমো নিয়ান্ডারথ্যালিয়েনসিস। এরা ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ায় থাকত। আজ থেকে ৪ লক্ষ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে এরা পৃথিবীতে ছিল। তারপর কালের নিয়মে এই আত্মীয়রা হারিয়ে যায়। আর এদের থেকেই আমরা কিস করা শিখেছি।
আগের গবেষণা কী বলে?
এর আগে একাধিক গবেষণায় দেখা যায় যে হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়েন্ডারথ্যালসদের মিলন হয়েছে। তাই তাদের ডিএনএ-এর কিছুটা অংশ মানুষের শরীরে আজও বর্তমান। তবে এটা জানা ছিল না যে সেই মিলনের মধ্যে চুম্বন ছিল কি না।
যদিও এই বিষয়ে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এই গবেষণার প্রধান লেখক জানান, চুমু খাওয়াটা আমাদের খুব সাধারণ মনে হয়। তবে সারা পৃথিবীর মাত্র ৪৬ শতাংশ সংস্কৃতিতে চুমু খাওয়ার রীতি রয়েছে।
মানুষের আগেই নিয়েন্ডারথ্যালসরা কিস করতে জানত
এই গবেষণায় জানা গিয়েছে মানুষরা কিস করতে শেখার প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগেই নিয়েন্ডারথ্যালসরা চুম্বন করতে জানত। মানুষ অনেক পরে সেটা শিখেছে। তারপর আমাদের কাছেও চুমু খুব আপন হয়ে যায়। আর সেই ধারা এখনও বর্তমান।