India Bangladesh Border: কেউ কাঁটাতার টপকাচ্ছে না তো? বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল অসম

ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নির্দেশিকে জারি করেছে অসমের কাছাড় জেলা প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কার্যকলাপ রোধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর এই মর্মে একটা বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
কেউ কাঁটাতার টপকাচ্ছে না তো? বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল অসমভারত-বাংলাদেশ বর্ডার
হাইলাইটস
  • ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন উত্তপ্ত
  • এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নির্দেশিকে জারি করেছে অসমের কাছাড় জেলা প্রশাসন
  • অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে

ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নির্দেশিকে জারি করেছে অসমের কাছাড় জেলা প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কার্যকলাপ রোধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর এই মর্মে একটা বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এমন পরিস্থিতিতে অসামের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরাও এদেশে ঢুকতে পারে। তাই এই আগেভাগেই তৈরি থাকতে চাইছে প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে খবর।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব এই নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS)-এর ১৬৩ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করেই এই নির্দেশ জারি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নির্দেশের লক্ষ্য হল, সীমান্ত দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধ যাতায়াত বন্ধ করা। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে অবৈধ পণ্য পাচার এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করাও এই নির্দেশের উদ্দেশ্য।

এই নির্দেশে জানান হয়েছে, রাতের বেলায় কোনওভাবেই অবাধ চলাচল হবে না। এমনটা করা হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও গবাদি পশুর অবৈধ পাচারের মতো অপরাধ বাড়তে পারে। এর জন্য দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

কী করা হচ্ছে?

ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতে অবস্থিত সুরমা নদী ও তার তীরবর্তী এলাকাতেও রাতের বেলা যাতায়াত করা যাবে না।

সুরমা নদীতে নৌকা চালানো ও মাছ ধরার ক্ষেত্রেও নানা বাধানিষেধ আনা হয়েছে। কেবল স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে মাছ ধরতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রেও মাছ ধরতে গেলে কাটিগড়াহ সার্কেল অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় রাতের বেলায় চিনি, চাল, গম, ভোজ্য তেল ও নুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়েও প্রবেশ করতে বারণ করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে।

Advertisement

এই অনুমতিগুলির দিকে কঠোরভাবে লক্ষ রাখা হবে। এর পর্যবেক্ষণের কপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢলচেরার বিএসএফের ১৭০তম ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের কাছে পাঠানো হবে। এর মাধ্যমেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

POST A COMMENT
Advertisement