Election FAQs

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কার্যকাল ৩০ মে ২০২১ পর্যন্ত রয়েছে। এর জন্যই ৩০ মে-র আগে যে কোনও প্রক্রিয়ায় বিধানসবা এবং নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোটগ্রহণ। ২৭ মার্চ, ৬ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ২৯ এপ্রিল। ফলাফল ২ মে।

পশ্চিমবঙ্গে সর্বমোট ২৯৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে প্রধানভাবে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এছাড়াও বসপা, জেডিইউ, মিম, আরজেডি সহ আরও আঞ্চলিক দলগুলিও কোমর বেঁধে নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছে।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বর্তমানে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০৯টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে, ২৭টি বিজেপির, ২৩টি কংগ্রেস, ১৯টি সিপিআইএম, আরএসপি ২, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক ২ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ২জন বিধায়ক রয়েছেন। এছাড়া ১০টি আসন এমন রয়েছে যেখানে বিধায়করা ইস্তফা দিয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। তাই সেগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে।  

কেরালাতে মোট ১ দফায় ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের ফল প্রকাশ ২ মে।

কেরালা বিধানসভায় মোট ১৪০টি আসন রয়েছে।

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইডেট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরালা কংগ্রেস(জোসেফ) আরএসপি, কেরালা কংগ্রেস(জেকব) সিএমপি(জে) ভারতীয় ন্যাশনাল জনতা দল এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক রয়েছে। বামেদের নেতৃত্বাধীন এলডিএফে সিপিএম, সিপিআই, জেডিএস, এনসিপি, কেরালা কংগ্রেস (এম), কেরালা কংগ্রেস(সকারিয়া থমাস), কংগ্রেস(সেকুলার), জেকেসি, ইন্ডিয়ান ন্যাশলান লিগ, কেরালা কংগ্রেস(বি), জেএসএস এবং লকতান্ত্রিক জনতা দল রয়েছে। অন্যদিকে এনডিএতে বিজেপি ছাড়া ভারতীয় ধর্ম জনসেনা পার্টি সামিল রয়েছে।

কেরালা বিধানসবায় মোট ১৪০টি আসন রয়েছে। বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফের দখলে রয়েছে ৯২ জন বিধায়ক। এর মধ্যে সিপিএমের ৫৮, সিপিআই ১৯, জেডিএস ৩, এনসিপি ২, কেরালা কংগ্রেস(এম) ২, কেসি(বি) ১, কংগ্রেস(সেকুলার) ১, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ ১, আরএসপি(এল) ১ এবং নির্দলীয় ৪ বিধায়ক আছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের কাছে ৪২ জন বিধায়ক আছে। তাদের মধ্যে কংগ্রেস ২১, ইউনিয়ন মুসমিল লিগ ১৮, কেসি(জোসেফ) ২, কেরালা কংগ্রেস (জে), সিএমপি(জে) ১ সহ আরও দুই বিধায়ক রয়েছেন। সেখানে বিজেপির ১  এবং কেজি(এস)-এর বিধায়ক রয়েছেন। যদিও, বিধানসভায় ৪টি আসন রয়েছে খালি।

অসম বিধানসভার কার্যকাল ৩১ মে, ২০২১ পর্যন্ত রয়েছে। ফলে এর মধ্যেই সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফল ঘোষণা করে সরকার গড়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

অসম বিধানসভাতে মোট ১২৬টি আসন রয়েছে।

অসমে ৩ ভাগে ভোটগ্রহণ করা হবে। ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল ও ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। ফলাফল ঘোষণা ২ মে।

অসম বিধানসভাতে মোট ১২৬টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ৬১টি রয়েছে বিজেপির দখলে, অসম গণ পরিষদের ১৪, বিপিএফের ১২, কংগ্রেসের ২৫, এআইইউডিএফের ১৩ এবং ১ জন নির্দলীয় বিধায়ক রয়েছেন।

তামিলনাডু বিধানসভার কার্যকাল শেষ হচ্ছে ২৪ মে ২০২১। ফলে ২৪ মে-র আগেই সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করে সরকার গঠনের কাজ করতে হবে।

তামিলনাডুতে মোট ২৩৪টি আসন রয়েছে।

অসমে ১ দফায় ভোট। ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। ফলাফল ২ মে।

তামিলনাডুতে মোট ২৩৪ বিদানসভা আসনের মধ্যে AIADMK-র দখলে রয়েছে ১৩৪টি আসন, ডিএমকে-র দখলে ৯৭, কংগ্রেস ৭, আইইউএমএলের ১ এবং এএমএমকের ১ জন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে, ৪টি বিধানসভা আসন বর্তমানে খালি রয়েছে।

তামিলনাডুতে এবার মুলত ইউপিএ এবং এনডিএর মধ্যেই লড়াই হতে চলেছে। তামিলনাডুতে এনডিএ-তে AIADMK, পিএমকে, বিজেপি, ডিএমডিকে, তামিল মনিলা কংগ্রেস সহ কিছু ছোটো দল সামিল রয়েছে। অন্যদিকে ইউপিএ-তে ডিএমকে, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, ইউনিয়ম মুসলিম লিগ, এমডিএমকে সহ সহ কিছু আঞ্চলিক দল লড়াই করছে। এছাড়া কমল হাসানের মক্কল নিডি মিম এবং আম্মা মক্কল মুনেত্র কাষাগম-ও লডা়ইয়ের ময়দানে রয়েছে।  

কেন্দ্র শাসিত পুদুচেরির বিধানসভার কার্যকাল ৮ জুন ২০২১-এ শেষ হবে। ফলে ৮ জুনের আগে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন করে সরকার গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।  

পুদুচেরিতে মোট ৩৩টি বিধানসভা আসন রয়েছে।

পুদুচেরিতে ১ দফায় ভোটগ্রহণ। ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। ফলাফল ২ মে।

কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে মোট ৩৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সরকার পক্ষের দলে ১২টি কংগ্রেসের, ৩টি ডিএমকে এবং ১টি নির্দলীয় বিধায়কের দখলে রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদের মধ্যে অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেসের দখলে ৭, AIADMK-এর দখলে ৪ এবং বিজেপির দখলে রয়েছে ৩টি আসন।

পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনে ইউপিএ-তে কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, এমডিএমকে একসঙ্গে রয়েছে। অন্যদিকে, এনডিএতে অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস, AIADMK, বিজেপি আর পিএমকে একজোট রয়েছে।

১৯৫২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এখনও পশ্চিমবঙ্গে ১৬ বার বিধানসভা নির্বাচন হবে। এবার ১৭-তম বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে।

পশ্চিবঙঅগে সব থেকে বেশি সময় বাম নেতা জ্য়োতি বসু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ২০০০ পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ৪ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। প্রথমবার ১ জুলাই ১৯৬২ থেকে ৮ জুলাই ১৯৬২, দ্বিতীয়বার ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯, তৃতীয়বার ১৯ মার্চ ১৯৭০ থেকে ২ এপ্রিল ১৯৭১ পর্যন্ত। এছাড়া ২৮ জুন ১৯৭১ থেকে ১৯ মার্চ ১৯৭২ পর্যন্তও জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।

পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি সময় বাম সরকার ক্ষমতায় ছিল। ১৯৭৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বামেদের যৌথ সরকার রাজত্ব করে। মানে মোট ৩৪ বছর ধরে তারা ক্ষমতায় ছিল। এর পাশাপাশি কংগ্রেস দফায় দফায় ১৮ বছর বাংলায় সরকার চালায়।

পশ্চিবঙ্গে ১৯৭৭ সালে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন।

তামিলনাডুর প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে AIADMK নেতা জানকী রামচন্দ্রণের নাম রয়েছে। ৭ জানুয়ারি ১৯৮৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। জানকী রামচন্দ্রণ পূর্ব সিএম তথা AIADMK-র প্রতিস্থাতা এমজি রামচন্দ্রনের স্ত্রী।  

তামিলনাডুতে সব থেকে বেশি সময় আসন সামলেছে AIADMK। তারা বিভিন্ন সময় মিলিয়ে ৩১ বছর রাজত্ব করেছে। অন্যদিকে DMK ২১ বছর রাজত্ব করেছে তামিলনাডুতে।

তামিলনাডু বিধানসভা আগে মাদ্রাজ বিধানসভার নামে জানা হত। ১৯৬৯ সালে মাদ্রাজের নাম পরিবর্তিত হয়ে তামিলনাডু হয়। তারপরই বিধানসভার নামও বদলে যায়।  

অসমে প্রথমবার অ-কংগ্রেসি সরকার ১৯৭৮ সালে জনতা পার্টি বানায়। গোলাপ বোরবোরা মুখ্যমন্ত্রী হন।

অসমে প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেস নেতা সায়েদা আনোয়ারা তৈমুর। ১৯৮১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন। তিনি দেশের প্রথম মুসলমান মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও।

তামিলনাডু থেকে আলাদা হয়ে কেরালা রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৫৭ সালে সেখানে সিপিআই-এর সরকার হয় আর ইএমএম নামুদ্রিপাদ মুখ্যমন্ত্রী হন।  

কেরালায় বেশি সময় ধরে বাম ও কংগ্রেস রাজত্ব করে চলেছে। কিন্তু দুবার অন্য দলের থেকেও মুখ্যমন্ত্রী হন। সব থেকে আগে ১৯৬০ সালে প্রজা সোশালিস্ট পার্টির সরকার তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী হন পাত্তম থান্নু পিল্লাই। এরপর ১৯৭৯ সালে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ম মুসলিম লিগ সরকার গঠন করে। সিএইচ মহম্মদ কৌয়া মুখ্যমন্ত্রী হন। যদিও, কৌয়া মাত্র ৩ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন।

কেরালায় এখনও পর্যন্ত ২২ জন মুখ্যমন্ত্রী হন। ১০ জন বাম দল থেকে, ১০ জন কংগ্রেস থেকে মুখ্য়মন্ত্রী হন। এছাড়া একবার প্রজা সোশালিস্ট পার্টি এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ম মুসলিম লিগ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হন।

১৯৫৭ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় কেরালাতে। শেষ বার ১ ডিসেম্বর ১৯৭৯ থেকে ২৫ জানুয়ারি ১৯৮০ পর্যন্ত ছিল।

১ নভেম্বর ১৯৫৬ সালে প্রথমবার পুদুচেরি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হয়। যদিও, বিধানসভার গঠন ১৯৬৩ সালে হয়। সেই বছরই নির্বাচনে কংগ্রেস সেখানে প্রথমবার সরকার গঠন করে।

পুদুচেরিতে সব থেকে কম বয়সের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এমও ফারুক মরীকরের নাম উঠে এসেছে। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৯০-এর মধ্যে তিনি ৩ বার মুখ্যমন্ত্রী হন পুদুচেরির। শুধু কেন্দ্র শাসিত পুদুচেরিতেই নয়, দেশের মধ্যে সবথেকে কম বয়সী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নামই রয়েছে এখনও।