ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও বিরোধীই প্রার্থী ঠিক করেনি। শনিবার মথুরাপুরের সভায় এই প্রসঙ্গেই বিজেপির আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক । তাঁর কটাক্ষ,ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। ইডি আর সিবিআই অধিকর্তাদের দাঁড় করান। তার পাল্টা বিজেপি নেতা তথা বরাগনগরে উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী সজল ঘোষ বললেন,'ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিজেপির অন্দরে প্রতিযোগিতা চলছে'।
এ দিন অভিষেক বলেন,'ডায়মন্ড হারবারে তো প্রার্থী পাচ্ছে না। ইডি বা সিবিআই ডিরেকটর দাঁড়ান না। রাজ্যে চারটে আসন খালি। এনআইএ, সিবিআই, ইডি আর আয়কর দফতরের ডিরেকটরদের দাঁড় করান'। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩৯টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে আসানসোলে লড়াই করতে চাননি ভোজপুরী নায়ক পবন সিং। ফলে ওই আসনটি এখনও ফাঁকা।
তৃণমূলও দাবি করেছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে ভয় পাচ্ছে বিরোধীরা। কেউই সাহসে কুলোতে পারছেন না। সত্যিই কি তাই? সজল বলেন,'এটা মিডিয়াতে বলার নয়, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে রাজনৈতিকভাবে বধ করবে? ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়ার জন্য আমাদের দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। আপনারা দেখেছেন অনেকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী না পেরে আক্ষেপ করেছেন'। আপনিও তো করেছেন? সজলের দাবি, ওই ভাইরাল অডিও একটি টিভি চ্যানেলে তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ। সদ্য প্রার্থী হয়েই প্রতারণা শুরু করে দিয়েছেন সায়ন্তিকা।
রাজনীতিতে অনেক সময় হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে বেশি ডিভিডেন্ট মেলে। সেটাও তো কারণ হতে পারে? সজলের কথায়,'হারার কোনও জায়গাই নেই। আগেরবার ১২০০ বুথে হেরেছেন। ৪০০ বুথে জিতে লাফালাফি করছেন। উনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অর্জুন সিং জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি টাকা ইডি যুক্ত করে নিল। একটাও শব্দ বলছে না। কথায় কথায় সুপ্রিম কোর্টে যায়! সেই উকিলবাবুরা একবারও কোনও কোর্টে যাননি। ফাঁসিকাঠে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। জল্লাদ সেই মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। ফাঁসিকাঠে তো ঘুণ ধরে গেল'।
নরেন্দ্র মোদীর 'প্রতিশ্রুতি'র প্রসঙ্গ তুলে এ দিন অভিষেক বলেন,'বাংলায় ফোন করে প্রধানন্ত্রী বলছেন, ৩০ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেবেন। কেরল ও তামিলনাড়ুতেও ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন। ১৪০ কোটি জনসংখ্যা দেশের। এক একটা মানুষ কত টাকা পাবেন জানেন? ২১ টাকা দিয়ে ৫ বছরের জন্য ভোট চাইছেন? বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। এরা ১ হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষা বলছে। এখন ২১ টাকা দিয়ে ভোট চাইছে'। এ নিয়ে সজলের মন্তব্য,প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেননি। উনি বেশিদূর লেখাপড়া করেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইডি ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ১৪০ কোটি লোকের কথা বলেননি। বাংলার গরিব মানুষের কীভাবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া যায়, সেনিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন'।