লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৪ থেকে ৩০ টা আসন পাবে বিজেপি। ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সন্দেশখালি-সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। অমিত শাহর দাবি,
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোডাস অপারেন্ডি তৈরি করেছেন। তাঁর নীতি হল আগে আগে নৃশংসতা চালাও তারপর সাধারণ মানুষ যখন তার সমালোচনা করে তখন আরও হিংসা সংঘটিত করো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা হলেও তাঁরই রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে দাবি করেন শাহ। তাঁর কথায়, 'একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসিত রাজ্যে ধর্ম দেখে নারীদের উপর অত্যাচার হয়। অথচ তিনি চুর করে থাকেন কীভাবে? অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। হয়েওছে।'
অমিত শাহ এর আগে সভা থেকে দাবি করেছিলেন ৩০-এর বেশি আসন পেলে ক্ষমতা থেকে চলে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও ব্যাখা দেন শাহ। তিনি দাবী করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজ্য যেভাবে চালান, যেভাবে প্রশাসন চলে তা থেকে পরিষ্কার যে, ৩০-এর বেশি আসন পেলে তৃণমূল সরকার আর থাকবে না। মানুষই সেই সরকারের পতন ঘটাবে। কারণ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে।
ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ আরও দাবি করেন, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের জন্য রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বিজেপি বিরোধী জোটের নেতা-নেত্রীরা। তাঁর কথায়, 'আমার স্পষ্ট অভিযোগ, তারা সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের ভয়ে রামমন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যাননি। ইদে তারা খরচ করে। মুসলিম ভাইদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে। কিন্তু হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও আপনারা রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না। কারণ, আপনারা মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে ভয় পাচ্ছেন। এটা কেমন রাজনীতি? নিজের ধর্মের অনুষ্ঠানে কেন যাবেন না?'
অমিত শাহর দাবি, ফারুক আবদুল্লাহ ও কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা আছে। তাই তাদের সমীহ করা উচিত। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর দাবিথেকে বিরত থাকতে হবে। তবে বিজেপি পরিচালিত সরকার সেই দাবিকে মান্যতা দেয় না। সাফ জানান শাহ। তিনি বলেন, '১৩০ কোটি মানুষ বসবাস করে ভারতে। একটা পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে ভয় পেয়ে কি অধিকার ছেড়ে দেবে ভারত? রাহুল বাবাকে বোঝাতে হবে তাদের জোট নেতারা কী বলছেন। তারা যেসব কথা বলছেন সেগুলো কাম্য নয়।'