Adhir Chowdhury: খাড়গেজি আমার বিরুদ্ধে বললেও রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের পাশেই আছি : অধীর

Adhir Ranjan Chowdhury: কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সমালোচনার পাল্টা ব্যাখা দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। স্পষ্ট জানালেন, 'আমাকে এবং আমার দলকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করতে চান, এমন ব্যক্তির হয়ে আমি কথা বলতে পারব না।' উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে INDIA ব্লকের সদস্য করা উচিত কিনা, সেই বিষয়ে অধীর চৌধুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন।

Advertisement
খাড়গেজি আমার বিরুদ্ধে বললেও রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের পাশেই আছি : অধীরMamata adhir kharge
হাইলাইটস
  • কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সমালোচনার পাল্টা ব্যাখা দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি।
  • স্পষ্ট জানালেন, 'আমাকে এবং আমার দলকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করতে চান, এমন ব্যক্তির হয়ে আমি কথা বলতে পারব না।'
  • উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে INDIA ব্লকের সদস্য করা উচিত কিনা, সেই বিষয়ে অধীর চৌধুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন। 

Adhir Ranjan Chowdhury: কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সমালোচনার পাল্টা ব্যাখা দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। স্পষ্ট জানালেন, 'আমাকে এবং আমার দলকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করতে চান, এমন ব্যক্তির হয়ে আমি কথা বলতে পারব না।' উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে INDIA ব্লকের সদস্য করা উচিত কিনা, সেই বিষয়ে অধীর চৌধুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন। 

অধীরের বক্তব্য
'আমি এমন একজনের পক্ষে কথা বলতে পারব না, যিনি আমাকে রাজনৈতিকভাবে এবং আমাদের দলকে বাংলায় শেষ করতে চান। এটি প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মীর জন্য লড়াই। আমি তাঁদের হয়ে কথা বলেছি,' বলেন কংগ্রেসের বহরমপুর প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এবারের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

অধীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বিরোধিতা নীতিগত অবস্থান থেকে। এর মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। 'কোনও ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই, তবে আমি তাঁর রাজনৈতিক নীতিকে প্রশ্ন করি,' বলেন অধীর চৌধুরী।

তাঁর সম্পর্কে খাড়গে-র মন্তব্যের বিষয়ে, অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমি চাই না রাজ্য কংগ্রেস তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডায় ব্যবহার করা হোক এবং তারপর সংগঠনটি শেষ হয়ে যাক৷ যদি খাড়গেজি আমার মতামতের বিরুদ্ধেও কথা বলেন, আমি রাজ্যের তৃণমূল স্তরের কংগ্রেস কর্মীদের হয়েই কথা বলতে থাকব৷'

এর আগে, অধীর চৌধুরী বলেছিলেন যে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করা যায় না। কারণ তিনি ইন্ডিয়া ব্লক থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বামদের হারানোর জন্য মাওবাদীদের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং তারপর তাদের ত্যাগ করেছিলেন।

শনিবার, কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে মুম্বইতে শিবসেনা (ইউবিটি) সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেন।

'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি সরকারে যোগ দেবেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেবেন না। সিদ্ধান্ত নেব আমি এবং হাইকমান্ড। যারা রাজি নয় তারা বেরিয়ে যাবে,' বলেন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও মল্লিকার্জুন খাড়গের এই বিবৃতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে টিএমসি ইন্ডিয়া জোটের একটি অংশ হয়ে আছেন এবং থাকবেন। বেঙ্গল কংগ্রেস এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন এবং বিজেপিকে অক্সিজেন দিচ্ছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের এটা আগে বলা উচিত ছিল।'

গত সপ্তাহে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে তাঁর দল ইন্ডিয়া ব্লকের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে।  তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য বাইরে থেকে বিরোধী নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন করবে।

POST A COMMENT
Advertisement