তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে মহিউদ্দীন আহমেদকে প্রার্থী করল আইএসএফ। মহিউদ্দীন নিজে আপার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী। বহরমপুরের মহিউদ্দীন থাকেন কৈখালিতে। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। কেন তমলুক আসনটি বেছে নিলেন? bangla.aajtak.in-কে মহিউদ্দীন জানালেন,'আমরা মূল ইস্যুকে ঘোরাতে চাই না। অন্য কোথাও গেলে ইস্যুটা থাকবে না। স্থানীয় ইস্যু এসে যাবে। বাংলাজুড়ে শিক্ষিত যুব সমাজের যে আর্তনাদ তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। রাজ্য সরকার চাকরি দেয়নি'।
২০১৪ সালে নোটিফিকেশন হয় আপার প্রাথমিকের। ২০১৫ সালে নেওয়া হয় পরীক্ষা। রেজাল্ট প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে ২০১৯ সালে প্যানেল বাতিল করে মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। এই মামলায় নতুন করে প্যানেল করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি 'সহানুভূতিশীল' ছিলেন তিনি। সেই অভিজিৎই তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পিছনে কোনও বিশেষ ভাবনা? মহিউদ্দীনের কথায়,'ওঁকে ব্যক্তিগতভাবে সম্মান করি। লড়াই অসমাপ্ত রেখে চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় রেখে চলে গেলেন। ওই আইনজীবী কোনও লড়াই করেননি। আমি তমলুক আসন বেছে নিয়েছি। ভাইজান আমাকে সম্মতি দিয়েছেন। আমরা চাই যাঁরা যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাক। রাজ্য সরকারের কোথাও একটা গিয়ে ত্রুটি রেখে দিচ্ছে। যেটাকে ইস্যু করে মামলা হচ্ছে। এটা সরকারের কৌশল। এতে নিয়োগপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর পর রাস্তায় বসে আছেন'।
তিনি আরও বলেন,'আমি অধিকার আর বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে চাইছি। অভিজিতের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে বলুন চাকরি চোর দেবাংশুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছি। চোর, বিচারপতি আর উকিলের এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করছি'।
আইএসএফের বিরুদ্ধে উঠেছে ভোট ভাগ করার অভিযোগ? তমুলকে দলের প্রার্থীর কথায়,'ভগবানগোলার আইএসএফ প্রার্থী প্রার্থী স্কুল মাস্টার। উলুবেড়িয়ার প্রার্থী অধ্যাপক। প্রাক্তন সেনাকর্মী মুর্শিদাবাদের প্রার্থী। নওশাদ কখনও আলাদা করে সংখ্যালঘুর কথা বলেননি। উনি বঞ্চিতদের কথা বলেছেন। আর মুসলিম ভোট কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? উনি কি উন্নয়ন করেছেন? আমি চ্যালেঞ্জ করছি, নওশাদকে নিয়ে দিদিমণির সামনে বসে যাব।বিজেপি আর তৃণমূলের ন্যারেটিভ। তমলুকের চাকরিপ্রার্থীরা কি বঞ্চিত হয়নি? তারা কি ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দেবে?'