সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই বাংলায় শক্ত ঘাঁটি হারাল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ছাড়বেন বলে চিঠি দিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঝাড়গ্রামের মতো জায়গায় কুনারের সরে যাওয়ায় অনেকটাই ধাক্কা খাবে বঙ্গ বিজেপি। আসন্ন লোকসভা ভোটে তাঁর বিকল্প হিসাবে কাকে প্রার্থী করা হবে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
কেন দল ছাড়লেন?
ভোটের আগে এভাবে দল ছাড়ায় অনেকের মধ্যেই তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি দলবদল করছেন তিনি? অনেকেই প্রথমে ধরে নেন যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলেই হয় তো যাচ্ছেন কুনার হেমব্রম। তবে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন কুনার নিজেই। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, বয়সজনিত বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ফলে তাঁর পক্ষে আর সক্রিয় রাজনীতি করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য কোনও দল তো নয়-ই, রাজনীতিতেই থাকতে চাইছেন না কুনার হেমব্রম।
তিনি বলেছেন, 'ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়লাম। অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই।'
তবে এরই মধ্যে আরও এক জল্পনার বিষয় উঠে আসছে। লোকসভা নির্বাচনে কি তাঁকে প্রার্থী করা হত না? সেই কারণেই কি আগেভাগে দল ছাড়লেন? সংবাদমাধ্যমকে কুনার হেমব্রম জানান, বিজেপিতে কে টিকিট পাবেন-না পাবেন তা আগে থেকে বোঝা যায় না। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীও বিজেপি ছাড়েন। তবে তিনি দল বদল করেছিলেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুকুটমণি অধিকারী। এরপর সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিতে শুরু করছেন মুকুটমণি অধিকারী।