লক্ষ্মী ভাণ্ডারই আমাদের হারের পিছনে বড় কারণ। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে BJP-র ভরাডুবির পর এমনই উপলব্ধি অগ্নিমিত্র পালের।
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। অন্তত ২০১৯ সালে ছবিটা এই আসনে বিপুল ব্যবধানে জিতেছিলেন। এবার সেই আসনেই দাঁড়িয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। তাঁকে ২৯ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে এই হারের পর টানা দুই দিন ধরে পর্যালোচনা করেন অগ্নিমিত্রা। আর তার পরেই তাঁর এহেন উপলব্ধি।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বহু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। বিভিন্ন হুমকি ও আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৫ জন মেদিনীপুর শহরে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অগ্নিমিত্র পাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ শেষ সমস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজির হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা জেলা কার্যালয়ে। সকলের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন নিরাপত্তার ও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার।
এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'আমার খুব কাছের বন্ধু জয়ী হয়েছেন। ২০২১ এও তিনি যখন জয়ী হয়েছিলেন আবেদন ছিল এই ধরনের আক্রমণ যাতে না হয়। কিন্তু রক্ষা হয়নি। এবারও পরাজিত হওয়ার পর খড়্গপুরেই সংবাদমাধ্যম দিয়ে আবেদন করেছিলাম কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সুতরাং এবার আমাদের কর্মীদের রক্ষা আমরাই করব।'
সেই সঙ্গে পরাজয়ের কারণ আত্মবিশ্লেষণ করেছেন দুদিন ধরে। তারপর তিনি জানান, 'আমাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ লক্ষ্মী ভাণ্ডার। জানিনা বাংলার মা বোনেদের কাছে তাদের পরিবারের আত্মসম্মান, সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের থেকে লক্ষ্মী ভাণ্ডার এত প্রিয় কিভাবে হল। যাই হোক সেটা হয়েছে। তবে মেদিনীপুর একজন ভালো সাংসদকে হারালো। ভেবেছিলাম আমি জয়ী হয়ে এইমস ধাঁচের একটা হাসপাতাল বানাব এখানে। কিছু ইন্ড্রাস্ট্রি আনবো। কিন্তু যেহেতু সংসদ হতে পারলাম না সেটা নিয়ে আসার ক্ষমতা ততখানি আমার নেই।'