শনিবার চতুর্থ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই তালিকাতেও বাংলার কোনও আসনের জন্য বিজেপি প্রার্থীদের নাম নেই। বিজেপির চতুর্থ তালিকায় পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুর একাধিক লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীদের অপেক্ষা ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে শোনা যাচ্ছে হোলির আগের দিন অর্থাৎ আজ বাংলার বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে গেরুয়া শিবির।
ভোট ঘোষণার আগেই বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে চমক দেন মোদী-শাহ। ইতিমধ্যে যদিও ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সাত দফায় দেশজুড়ে ভোট হতে চলেছে দেশে। তারপরও বিজেপি একাধিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও তাতে নাম নেই বাংলার। এখনও বাকি রয়েছে বাংলার ২৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা । এই বিলম্ব নিয়ে কর্মীদের একাংশের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে রবিবারই পঞ্চম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি। বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এই বৈঠকেই বাংলার বাকি ২৩ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে বলেই খবর। এই নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি। আগেই বাংলায় ২০টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তার মধ্যে আবার একটি আসনের প্রার্থী নাম ঘোষণার পর নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ, এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি বিজেপির।
এর আগে গত ২ রা মার্চ দেশের ১৯৪ টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। সেখানে বাংলার ২০ টি আসনে প্রার্থীর নাম জানানো হয়। যদিও পরে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেই নাম তুলে নেন। ফলে ২৩ টি লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে মোদী-শাহ। বাঁকুড়া লোকসভা আসন থেকে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে গতবারের জয়ী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি প্রার্থী। গত ১৩ বছরে কোন শিল্প আসেনি, তাই কেন্দ্রের 'বিশ্বকর্মা যোজনার' কথা শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরে রবিবাসরীয় প্রচার শুরু করেছেন ডা: সুভাষ সুভাষ সরকার। এদিকে সূত্র মারফত যা খবর, দিলীপ ঘোষকে এবার ছাড়তে হতে পারে মেদিনীপুরের আসর। সেখানে প্রার্থী করা হতে পারে ভারতী ঘোষকে। তার মধ্যেই মেদিনীপুরের পদ্ম-প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের নামে দেওয়াল লিখনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যা শুনে দিলীপ ঘোষ বলছেন, অতি উৎসাহিত হয়ে কর্মীরা এই কাজ করে ফেলেছে, ঠিক হয়নি।