লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে উত্তপ্ত হল ভাঙড়। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ আইএসএফ-র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচি সেরে এলাকার তৃণমূল নেতা রফিক খান কর্মীদের নিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিল সেই সময় তাঁদের ওপর বোমা ছোড়া হয়। অভিযোগের তির আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে ৪ জনকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের দেখতে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। তিনি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফাতিরর দাবি তোলন। রাতে আহতদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান অরুপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষও। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া মেলেনি আইএসএফের তরফে। শনিবার লোকসভা নির্বাচনের শেষদফার ভোট। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভাতেও ভোট নেওয়া হবে।
বুধবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ সামনে আসে। কোচপুকুরে আইএসএফ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, জিরানগাছায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে যাববপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ বলেন, আমাদের কর্মীদের ওপর বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। তাতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মহিলা এবং বাচ্চারাও রয়েছেন। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই এসব করছে। ভাঙড়ের মানুষ তৃণমূলকেই চায়। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে আইএসএফ শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।'